LIC Bima Ratna: এলআইসির বিমা রত্ন প্ল্যান বা পলিসির অন্যতম সুবিধা হল, এর প্রিমিয়ান মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধ বাষির্কী বা বার্ষিক কিস্তিতে দেওয়া যায়।
ফাইল চিত্র
Follow Us
নয়া দিল্লি: বর্তমান যুগে নিশ্চিত ভবিষ্যৎ ও আর্থিক সুরক্ষার জন্য জীবনবিমা (Life Insurance) অত্যন্ত জরুরি। আর জীবনবিমা বলতেই প্রথমেই মনে আসে এলআইসি(LIC)-র কথা। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এই সংস্থার তরফে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে নানা বিমা পলিসি আনা হয়েছে। এলআইসি-র এমনই একটি বিমা হল এলআইসি বিমা রত্ন (LIC Bima Ratna)। এলআইসির এই পলিসিতে মেয়াদ শেষে মোটা অঙ্কের রিটার্নের পাশাপাশি, বিমার মেয়াদ থাকাকালীন যদি পলিসি হোল্ডারের মৃত্যু হয়, তবে তার পরিবারও আর্থিক সাহায্য় পাবেন।
এলআইসি বিমা রত্ন পলিসি-
এলআইসির বিমা রত্ন প্ল্যান বা পলিসির অন্যতম সুবিধা হল, এর প্রিমিয়ান মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধ বাষির্কী বা বার্ষিক কিস্তিতে দেওয়া যায়। বার্ষিক, অর্ধ বার্ষিক ও ত্রৈমাসিক প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রে প্রথম প্রিমিয়ামের উপরে ৩০ দিন অবধি গ্রেস পিরিয়ড বা সময়ের ছাড় পাওয়া যায়। মাসিক প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রে ১৫ দিন অবধি এই গ্রেস পিরিয়ড পাওয়া যায়।
এলআইসি-র এই পলিসির আরও একটি সুবিধা হল, ল্যাপস হয়ে যাওয়া পলিসি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার আগে পুনরায় চালু করা যায়। প্রথম প্রিমিয়াম দেওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে এই বন্ধ হয়ে যাওয়া পলিসিকে চালু করা যায়।
যদি ন্যূনতম দুই বছরের কম মেয়াদে প্রিমিয়াম দেওয়া থাকে, তবে এই পলিসিকে বাতিল বলেই গণ্য করা হবে। দুই বছর প্রিমিয়াম দেওয়ার পর গ্রাহকরা চাইলে এই পলিসি বন্ধ করে দিতে পারেন।
যদি কোনও বিমা গ্রাহক দুই বছর ধরে প্রিমিয়াম দেন, তবে এই বিমার সাপেক্ষে আপনি আলাদাভাবে ঋণও পেতে পারেন।
এলআইসি বিমা রত্ন প্ল্য়ানে যে বিভিন্ন সুবিধাগুলি পাওয়া যায়, তার মধ্যে ডেথ বেনেফিট, সার্ভাইভাল বেনেফিট, ম্যাচুরিটি বেনেফিট রয়েছে। যদি বিমার মেয়াদ চলাকালীন বিমা গ্রহীতার মৃত্যু হয়, তবে তার পরিবার ১০ লক্ষ টাকা বেসিক সাম ও সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা গ্যারান্টিড অ্যাডিশনাল বেনেফিট বাবদ পাবেন।
সার্ভাইভাল বেনেফিটের ক্ষেত্রে বেসিক ফিক্সড সাম বা বিনিয়োগ করা অর্থের পাশাপাশি ৫ লক্ষ টাকা ম্যাাচুরিটি বেনেফিট পাবেন। এছাড়া গ্যারান্টিড অ্যাডিশন বাবদও মোটা অঙ্কের টাকা পাবেন।
এই বিমার শর্ত-
এলআইসি-র বিমা রত্ন প্ল্যানে বিনিয়োগের জন্য বেসিক সাম ন্যূনতম ৫ লক্ষ টাকা হতে হবে।
বিমার মেয়াদ ১৫ বছর, ২০ বছর বা ২৫ বছর হতে পারে।
এই পলিসিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ন্য়ূনতম ৫ বছর বয়স হতে হবে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগের মেয়াদ ১৫ বছর হবে। সর্বাধিক ৫৫ বছর বয়স অবধি বিনিয়োগ করা যেতে পারে, এক্ষেত্রে বিমার মেয়াদ হবে ২৫ বছর। বিমার ম্যাচুরিটির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭০ বছর।