
বর্তমানে আলোচনার টপ লিস্টে রয়েছেন ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসি। তবে শুধু বর্তমান নয়, তাঁর বাঁ পায়ের জাদু সবসময়ই সান্ধ্য আড্ডার মুখরোচক বিষয়। তবে সম্প্রতি ফিফা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেরায় অনেকেই সেই মুহূর্তে থেকে এখনও বের হতে পারছেন না। তবে এই প্রিয় ফুটবল তারকাকে মাঠে তো অনেকেই চেনেন তবে তাঁর নামে কত সম্পত্তি আছে তাঁর হিসেব কি কেউ দিতে পারবেন?

গত বছর পেশাদার ফুটবলার হিসেবে মেসি ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি বাবদ ৬১৬ কোটি টাকা পেয়েছেন। এছাড়াও মাঠের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করে বা ব্র্যান্ডের প্রচার করে মোট ৪৮০০ কোটি টাকা আয় করেছেন। আর মেসি নিজের বর্তমান ক্লাব পিএসজি থেকে প্রতি ঘণ্টায় পারিশ্রমিক বাবদ ৭.২৬ লক্ষ টাকা পান।

২০১৭ সালেই ফুটবলার মেসির নিজের যাত্রা শুরু করেন। 'মিম হোটেলস' (MiM Hotels) নামের একটি হোটেলের মালিক হন। শুধু তাই নয়, বার্সেলোনা, ম্যাল্লোর্কা, আরান ভ্যালি ও ইবিজ়াতে একাধিক হোটেল ও রিসর্ট রয়েছে। আর এগুলির দেখাশোনা করে ম্যাজেস্টিক হোটেল গ্রুপ। অন্ততপক্ষে ৪ টি হোটেলের মালিক মেসি। এছাড়াও একটি শীতকালীন রিসর্ট রয়েছে। তবে কিছু জটিলতার কারণে তাঁর বার্সেলোনার হোটেলটি ভেঙে দিতে হয়।

হাতে গোনা কয়েকজন খেলোয়াড়েরই প্রাইভেট থাকে। তার মধ্যে মেসি অন্যতম। মেসির ২০০৪ গালফস্ট্রিম ভি (2004 Gulfstream V) প্রাইভেট জেট রয়েছে। যার মূল্য় ১২০ কোটি টাকা। মেসির পছন্দের ও লাকি নম্বর ১০। সেই সংখ্যাটি এই জেটের লেজের দিকে লেখা রয়েছে। তাঁর এই বিমানে মোট ১৬ জন একসঙ্গে উড়ে যেতে পারেন। এছাড়াও রান্নাঘর সহ বেশ অনেকখানি জায়গা রয়েছে এই প্রাইভেট জেটে। আর এই বিমানের সিঁড়িতে খোদাই করা রয়েছে তাঁর স্ত্রী অ্যান্টোনেল্লা ও সন্তানদের নাম।

শুধু আকাশপথেই নয় জলপথেও রাজ করছেন আমাদের লিওনেল মেসি। মাইওরা সেভেন সি (Maiora Seven C) নামে একটি বোটও রয়েছে তাঁর। জানা যাচ্ছে, এই বোটের দাম ১০০ কোটি টাকারও বেশি। অনেকবার তাঁকে পরিবার, বন্ধু ও জনপ্রিয় ফুটবলারদের সঙ্গে এই বোটে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে।

শুধু হোটেল ব্যবসায় নেমেই থেমে থাকেননি মেসি। নিজের কেরিয়ার জুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন তিনি। তাঁর মূল ও আদি বাড়ি রয়েছে বার্সেলোনাতে। সেটা বাড়ি বললে ভুল হবে। বরং প্রাসাদ বলা ভাল। সেখানে জিম থেকে শুরু করে স্পা, থিয়েটর, ফুটবল মাঠ, পুল রয়েছে। এছাড়াও রোসারিওতে একটি প্রাসাদ রয়েছে। এর পাশাপাশি মিয়ামি, ফ্লোরিডাতে একটি লাক্সারি কন্ডো রয়েছে মেসির। প্যারিসে একটি বিলাসবহুল ম্যানসন ভাড়া রয়েছে তাঁর।

আর এবার আসা যাক তাঁর স্থলপথের রাজত্বে। অনেকেরই বিভিন্ন গাড়ির সখ থাকে। ব্য়তিক্রম নন ফুটবল জাদুকরও। বিলাসবহুল গাড়ির প্রতি একটা অনুরাগ রয়েছে মেসির। তাঁর গ্যারেজে সাজানো রয়েছে ম্যাসেরাটি গ্রান তুরিসমো, ডজ চার্জার এসআরটি৮, ফেরারি এফ৪৩০ স্পাইডার ও পাগানি জোন্ডা ট্রাইকলোরের মতো চমৎকার গাড়িগুলি। লিওনেল মেসি কয়েক বছর আগে ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ি কিনেছিলেন বলে গুজব রটেছিল। তবে তা কখনোই নিশ্চিত করা হয়নি।