Donald Trump: আমেরিকার কোপ! বন্ধ হবে ভারতের সব ‘কল সেন্টার’? চিন্তায় IT সেক্টর

Donald Trump Slams on Indian Call Centre: ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ লরা লুমারের কথার ছত্রে ছত্রে ভারত-বিদ্বেষ উঠে এসেছে। তিনি এটাও বলেছেন, ভারতীয়রা নাকি ঠিকমতো ইংরেজি বলতে পারেন না। যদিও সেই অভিযোগ যে পুরোপুরি ভ্রান্ত, সেটা যে কোনও সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ মাত্রই জানেন। আমেরিকার অনেক সংস্থাই আইটি সংক্রন্ত কাজ সস্তায় করিয়ে নিতে ভারত বা মেক্সিকো-র মতো দেশের উপরে নির্ভরশীল।

Donald Trump: আমেরিকার কোপ! বন্ধ হবে ভারতের সব কল সেন্টার? চিন্তায় IT সেক্টর
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Getty Image

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Sep 07, 2025 | 6:53 PM

নয়াদিল্লি: ওয়াশিংটন শুল্ক চাপানউতোরের আবহে নয়া বিপদের মেঘ ভারতের আকাশে। ভারত থেকে তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত কাজের ‘আউটসোর্সিং’ বন্ধ করার কথা ভাবছে আমেরিকা? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ ও দক্ষিণপন্থী আন্দোলনের নেত্রী লরা লুমারের চাঞ্চল্যকর দাবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলির অন্দরে।

লুমারের কথায়, মার্কিন সংস্থাগুলি প্রতিদিন বহু কাজ ভারতে অবস্থিত কল সেন্টার থেকে ‘আউটসোর্সিং’ করে। এবার সেই সব মার্কিন সংস্থার উপর কোপ পড়তে চলেছে। তাঁর বক্তব্য, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবার মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলির যাবতীয় কাজ ভারত থেকে আউটসোর্সিং বন্ধ করার কথা ভাবছেন। তার মানে, ‘২’ প্রেস করে ইংরেজিতে শোনার জন্য-র দিন শেষ। ‘মেক কল সেন্টারস আমেরিকান এগেইন’।”

রুশ তেল কেনার ‘অপরাধে’ ভারতের উপর ৫০% শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। শুল্ক চাপানউতোরের কোপ এসে পড়েছে ভারতীয়দের এইচ ওয়ান বি ভিসা-র উপরেও। এই ভিসাতেই আমেরিকাতে কাজ করেন ভারতীয়রা। ট্রাম্প-সহ দক্ষিণপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নেতানেত্রীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, ভারতীয়রা মার্কিন নাগরিকদের কাজ ‘চুরি’ করছেন বা ছিনিয়ে নিচ্ছেন। ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই অ-মার্কিনীদের উপর নানারকম বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন, জোর করে দেশত্যাগে বাধ্য করেছেন এমন অভিযোগ প্রচুর। ট্রাম্পের এই খামখেয়ালিপনার বিরুদ্ধে মার্কিন মুলুকে মিছিল, আন্দোলন হয়েছে। সেই আন্দোলন থামাতে আবার ট্রাম্প ন্যাশনাল গার্ড-কে হাতে রাস্তায় নামিয়েছেন।

ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ লরা লুমারের কথার ছত্রে ছত্রে ভারত-বিদ্বেষ উঠে এসেছে। তিনি এটাও বলেছেন, ভারতীয়রা নাকি ঠিকমতো ইংরেজি বলতে পারেন না। যদিও সেই অভিযোগ যে পুরোপুরি ভ্রান্ত, সেটা যে কোনও সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ মাত্রই জানেন। আমেরিকার অনেক সংস্থাই আইটি সংক্রন্ত কাজ সস্তায় করিয়ে নিতে ভারত বা মেক্সিকো-র মতো দেশের উপরে নির্ভরশীল। আমেরিকায় বসবাসকারীদের কোনও আইটি কোম্পানিতে ফোন করলে শুনতে হয়, ‘স্প্যানিশে শুনতে ১ টিপুন, ইংরেজিতে শুনতে ২ টিপুন।’ আসলে ওই সব দেশে মার্কিন সংস্থাগুলির কল সেন্টার চলে। ওইসব কল সেন্টারের মাধ্যমে ভারতীয়রা ফোনে বা ইমেলে মার্কিনীদের প্রযুক্তিগত কাজে সহায়তা করেন। এতে মার্কিন সংস্থাগুলির খরচ কম হয়। কারণ, ওই একই কাজ কোনও মার্কিন নাগরিককে দিয়ে করাতে অনেক বেশি পারিশ্রমিক দিতে হত। আবার অন্যদিকে, যে দেশে ওই কল সেন্টার চলে, যেমন এক্ষেত্রে ভারত, সেখানে কর্মসংস্থান তৈরি হয়।

কিন্তু এবার ট্রাম্প কি সেটার উপরেও কোপ বসাতে চলেছেন? আপাতত এই প্রশ্নেই চিন্তায় পড়ে গেছে ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলি। কারণ, তেমনটা হলে বহু সংস্থাকেই কর্মী ছাঁটাই করতে হবে। যার প্রভাব সরাসরি পড়বে দেশের অর্থনীতির উপর।