Bajaj Finance: বাজার কাঁপাচ্ছে Bajaj! এক বছরেই বিনিয়োগকারীদের ধরিয়ে দিল ‘চমকে দেওয়া’ মুনাফা

Bajaj Finance: বর্তমানে শেয়ার বাজারে ৯ হাজার ২৭৫ টাকার গন্ডিতে রয়েছে এই সংস্থা। গত এক বছরে এই শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ২ হাজার টাকা। যার জেরে সংস্থার বাজার মূলধন বেড়ে ঠেকেছে ৬ লক্ষ কোটি টাকায়।

Bajaj Finance: বাজার কাঁপাচ্ছে Bajaj! এক বছরেই বিনিয়োগকারীদের ধরিয়ে দিল চমকে দেওয়া মুনাফা
বাজাজ ফিনান্সImage Credit source: Getty Image

|

Apr 22, 2025 | 3:14 PM

কলকাতা: বাজার কাঁপাচ্ছে বাজাজ ফিনান্স (Bajaj Finance), এক বছরেই বিনিয়োগকারীদের মালামাল করল তারা। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নিফটি ৫০-র আর সকল শেয়ারের বৃদ্ধিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে কয়েক ধাপ। এক বছরে মোট ‘বাড় বাড়ন্ত’ দেখিয়েছে ৩৬ শতাংশ। যার জেরে বিনিয়োগকারীদের মূলধন বেড়েছে দেড় লক্ষ কোটি টাকা।

বর্তমানে শেয়ার বাজারে ৯ হাজার ২৭৫ টাকার গন্ডিতে রয়েছে এই সংস্থা। গত এক বছরে এই শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ২ হাজার টাকা। যার জেরে সংস্থার বাজার মূলধন বেড়ে ঠেকেছে ৬ লক্ষ কোটি টাকায়। তবে মঙ্গলবার কিন্তু সামান্য পড়েছে এই সংস্থার শেয়ার। সোমবার নিজের ১০ মাসের সর্বোচ্চ দাম ছুঁয়ে ফেলার পর এদিন মোট ০.২২ শতাংশ পড়ল সংস্থার শেয়ারের দর।

তবে এই সংস্থায় এটা কি বিনিয়োগের ভাল সময়?

বিগত ছয় মাসে পরপর দু’টি ত্রৈমাসিক রিপোর্টে ঝড় তুলেছে এই সংস্থা। নিজেদের তৃতীয় ত্রৈমাসিক রিপোর্টে তারা জানিয়েছিল, বছর প্রতি মুনাফা ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি আনছে বাজাজ ফিনান্স। এরপর শেষ রিপোর্টে সংস্থা জানায়, যে বছর প্রতি মুনাফা বৃদ্ধির পরিমাণ বেড়েছে মোট ২১ শতাংশ। এছাড়াও, সংস্থার মোট আয় বেড়েছে ৩১ শতাংশ। যেহেতু বাজাজ ফিনান্স ঋণ ব্যবস্থাপনা থেকেই মূল আয়টা করে থাকে, সেই নিরিখে বলা যেতে পারে, যত ঋণ গ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়বে, ততই তাদের লাভ। সংস্থা নিজের শেষ ত্রৈমাসিক রিপোর্টে জানিয়েছে, এক অর্থবর্ষে তাদের মোট ঋণ প্রদান বেড়েছে ৪ শতাংশ। এছাড়াও, নতুন গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে ৩০ লক্ষের অধিক।

বিশেষজ্ঞদের অনুমান, যদি কেউ দীর্ঘমেয়াদের জন্য বাজাজ ফিনান্সের শেয়ার কিনে ধরে রাখতে পারেন, সেক্ষেত্রে তার লাভের গুড় খাওয়ার সম্ভবনাই বেশি। কনজিউমার সমাজে EMI বা ঋণ নেওয়ার প্রবণতা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। আর সেই ঋণ ব্যবস্থাপনার বাজারে বাজাজ ফিনান্সও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। সেই ভিত্তিতে তাদের ধারণা, ২০৩০ সালের মধ্যে বাজাজ ফিনান্স ছুঁয়ে ফেলতে পারে ৯ হাজার ৬০০ টাকার গন্ডি। ২০৫০ সালে তা যেতে পারে ৩৯ হাজার টাকা পর্যন্ত।