
আজকের দিনে মোবাইল ব্যবহার করে না, এমন মানুষের সংখ্যা অনেক কম। আর প্রতিটা ফোনেই ফ্লাইট মোড থাকেই। কিন্তু ফ্লাইট মোড কী? এর কাজ কী? আসলে এই ফ্লাইট মোড ফোনের সমস্ত ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সায়য়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। যখন কেউ এরোপ্লেনে চড়েন, তিনি এই ফিচান অন করেন। যাতে প্লেনে থাকাকালীন ফোনের কোনও সিগনাল যেন বিমানের কোনও সিগনালকে প্রভাবিত করতে না পারে।
কিন্তু এই ফ্লাইট মোড শুধুমাত্র বিমানে চড়ার জন্য ব্যবহৃত হয় এমন নয়। অন্য অনেক ক্ষেত্রেই এই ফ্লাইট মোড ব্যবহার করা হয়। যেখানে নেটওয়ার্ক থাকে না, সেখানে এই মোড চালু করে রাখলে ফোনের ব্যাটারি সাশ্রয় হয়। কারণ, নেটওয়ার্ক না থাকলে সাধারণত ফোন নেটওয়ার্ক সার্চ করতে থাকে ও ফোনের ব্যাটারি হু হু করে কমতে থাকে। এ ছাড়াও ফোনে সিগন্যাল না থাকলে ফোন গরম হয়ে যায়, ফলে ফ্লাইট মোড অন করলে ফোন ঠান্ডা হয়ে যায়।
অনেক ক্ষেত্রে ফোন চার্জে বসানোর সময় ফ্লাইট মোড অন করে দিলে সাধারণ সময়ের চেয়ে দ্রুত চার্জ হয় মোবাইল। বাচ্চাদের হাতে ফোন দেওয়ার সময় ফ্লাইট মোড অন করে রাখলে তারা সেই ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে না।
এ ছাড়াও মনোসংযোগ বাড়ানোর জন্যও ফ্লাইট মোড অন করে রাখা যেতে পারে। কোনও নোটিফিকেশন, কল বা মেসেজ যাতে না আসে, সেই কারণে এই মোডটিকে ব্যবহার করা যায়।
তবে, ফ্লাইট মোড অন থাকলেও ওয়াইফাই ও ব্লুটুথ কাজ করে। ফলে, এই মোড অন করে রেখেও ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন ও হেডফোনও কানেক্ট করতে পারবেন।