৩টে হেলিপ্যাড-বিশাল পুল, অ্যান্টিলিয়ার আগে মুকেশ অম্বানী থাকতেন এই বাড়িতেই, কিন্তু মালিক তিনি নন!

Mukesh Ambani: ধীরুভাই অম্বানী চাইতেন তাঁর ছেলেরা একসঙ্গে থাকুক। সেই কারণেই তাঁর মৃত্যুর পরও অনিল অম্বানী ও মুকেশ অম্বানী তাদের পরিবার নিয়ে এই বিল্ডিংয়ে থাকতেন।

৩টে হেলিপ্যাড-বিশাল পুল, অ্যান্টিলিয়ার আগে মুকেশ অম্বানী থাকতেন এই বাড়িতেই, কিন্তু মালিক তিনি নন!
অম্বানী পরিবারের আগের বাড়ি।Image Credit source: X

|

May 03, 2025 | 5:06 PM

মুম্বই: ভারতের সবথেকে ধনী শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী। তার বাড়িও যে আলিশান হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মুম্বইয়ের অ্যান্টিলিয়ায় থাকেন মুকেশ অম্বানী। ১৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে অ্যান্টিলিয়া তৈরি করা হয়েছে। তবে জানেন কি, অ্যান্টিলিয়ার আগে অম্বানী পরিবার কোথায় থাকত?

২০১১ সালে অ্যান্টিলিয়া তৈরি হয়। তার আগে অম্বানী পরিবার থাকত মুম্বইয়ের কাফ প্যারেডের সি উইন্ড বিল্ডিংয়ে। এই বাড়িটিও কিন্তু অ্যান্টিলিয়ার তুলনায় কম কিছু নয়। ১৭ তলা এই বিল্ডিংয়ে শুধু মুকেশ অম্বানী ও তার পরিবারই একা থাকত না। এটা গোটা অম্বানী পরিবারেরই ঠিকানা ছিল। এই বাড়িতে থাকতেন মুকেশ অম্বানীর দাদা অনিল অম্বানীও তাঁর পরিবার নিয়ে থাকতেন। তাদের মা কোকিলাবেন অম্বানীও একই বাড়িতে থাকতেন।

ধীরুভাই অম্বানী চাইতেন তাঁর ছেলেরা একসঙ্গে থাকুক। সেই কারণেই তাঁর মৃত্যুর পরও অনিল অম্বানী ও মুকেশ অম্বানী তাদের পরিবার নিয়ে এই বিল্ডিংয়ে থাকতেন। তবে একই বিল্ডিংয়ে থাকলেও দুই ভাই আলাদা তলে থাকতেন।

সি উইন্ডের সঙ্গে অম্বানী পরিবারের একটা মানবিক যোগও রয়েছে। ধীরুভাই অম্বানী তাঁর শেষ জীবন এই বাড়িতেই কাটিয়েছিলেন। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ তৈরির ব্লু-প্রিন্টও এই ছাদের তলাতেই হয়েছিল।

অ্যান্টিলিয়া তৈরির পর মুকেশ অম্বানী ও তাঁর পরিবার সেখানে চলে গেলেও, তাঁদের মা কোকিলাবেন অনিল অম্বানীর পরিবারের সঙ্গে এই সি উইন্ডেই থেকে যান।

আয়তনে অ্যান্টিলিয়ার তুলনায় অনেকটাই ছোট সি উইন্ড। এতে অ্যান্টিলিয়ার মতোই হেলিপ্যাড রয়েছে, তাও আবার তিনটে। বিশালাকার সুইমিং পুলও আছে ১৭ তলা বিল্ডিংয়ে। পাশাপাশি আরব সাগরের অসাধারণ ভিউ দেখতে পাওয়া যায়।

বর্তমানে অনিল অম্বানীও আর সি উইন্ডে থাকেন না। মুম্বইয়ের পালি হিল এলাকায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার স্কোয়ার মিটারের বিশালাকার একটি বাড়িতে থাকেন, যার বাজারমূল্য ৫০০০ কোটি টাকা। বাড়ি ছেড়ে দিলেও, সি ভিউয়ের মালিক অনিল অম্বানী।