Mukesh Ambani Mango: গোটা মহাদেশে কেউ টক্কর দিতে পারে না অম্বানিকে, গরমকালে এই একটা জিনিস বেচেই সেরার সেরা মুকেশ
Reliance Industries: তখন ১৯৯৭ সাল। গুজরাটের জামনগর রিফাইনারি দূষণে জ্বালায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে রিলায়েন্স কর্তাদের। সেই সময় পরিবেশকে বাঁচাতেই শুরু হয় আমের 'কারবার'।

নয়াদিল্লি: তিনি ধনকুবের। রয়েছে একাধিক ব্যবসা। সর্বপরি ভারতের অন্যতম শিল্পপতি। কথা হচ্ছে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ নিয়ে। তবে জানেন কি? এই রিলায়েন্সের রয়েছে বিরাট আম বাগান। এমনকি, বর্তমানে এশিয়ার আম রফতানিকারীদের মধ্য়েও অন্যতম রিলায়েন্স।
কিন্তু এত ব্যবসা থাকতে হঠাৎ করে কেন আমের বাগান তৈরি করল তারা?
তখন ১৯৯৭ সাল। গুজরাটের জামনগর রিফাইনারি দূষণে জ্বালায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে রিলায়েন্স কর্তাদের। সেই সময় পরিবেশকে বাঁচাতেই শুরু হয় আমের ‘কারবার’। দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ডের পরামর্শ নিয়ে কারখানা লাগোয়া অনুর্বর জমিতেই বসিয়ে দেওয়া হয় আম গাছ।
মোট ৬০০ একর জমির উপর তৈরি হয় সেই আম বাগান। যার নাম রাখা হয় ধীরুভাই অম্বানির নামে। সেই ধুধু প্রান্তরে মোট ২০০ প্রজাতির ১ লক্ষ ৩০ হাজার আম গাছ বসায় অম্বানিরা।
কিন্তু গাছ বসালেই কি আর তা গজিয়ে ওঠে? প্রয়োজন হয়, উপযুক্ত যত্ন ও উর্বর মাটির। কারখানা লাগোয়া ওই জমি তেমনটা মোটেই ছিল না। লবণাক্ত মাটি ও শুষ্ক পরিবেশ। আম গাছগুলিকে বড় করতে কার্যত কালঘাম ছুটে যায় অম্বানিদের। তবে হাজার সমস্যার মুখে পড়লেও থামে না প্রচেষ্টা। সবুজায়নের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করে ফেলে রিলায়েন্স। আর সেই খাটনির ফল এখন পাচ্ছে তারা। ৬০০ একর জমিতে প্রতি বছর ফলে ৬০০ টন আম। যা গোটা এশিয়া-সহ বিশ্বের নানা দেশে রফতানি করে কোটি টাকা আয় করেন মুকেশ অম্বানির সংস্থা।

