অনেকের কাছেই ছেঁড়া-ফাটা বা নোংরা নোট থাকে। দেখে বুঝে কেউ সেই নোট নিতে চান না। ট্রামে, বাসে প্রতিনিয়ত এই ধরনের নোট নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় আমজনতাকে। এরকম হতেও পারে যে এটিএম থেকেই এরকম ছেঁড়া-ফাটা নোট বেরিয়ে এল। আমরা কোনও ব্যক্তি বা দোকানদারের থেকে এই ধরনের নোট নিতে নাও পারি। তবে এটিএম থেকে এই ধরনের নোট বের হলে আমরা তা নিতে বাধ্য। তবে এটিএম কিন্তু এই ধরনের নোট একেবারেই গ্রহণ করে না। তাহলে কি ছেঁড়া নোটের অঙ্ক নিজের পকেট থেকেই যাবে? রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে নষ্ট হয়ে যাওয়া নোট পরিবর্তন করা যায়।
কীভাবে করবেন নোট পরিবর্তন?
যেকোনও সরকারি ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট শাখা থেকেই রং লাগা, ছেঁড়া ও নষ্ট নোট পরিবর্তন করতে পারেন নাগরিকরা। বেসরকারি ব্যাঙ্কের কাউন্টার থেকেও এই নোট পরিবর্তনের সুযোগ থাকে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (নোট রিফান্ড) সংশোধনী নিয়ম, ২০১৮ অনুযায়ী, কোনও ব্য়াঙ্কের যেকোনও শাখায় দু’টুকরো বা তিন টুকরো টাকা নিয়ে গেলে সেই টাকা নিতে বাধ্য ব্যাঙ্কগুলি। পাশাপাশি সেই টাকা বদলেও দিতে হবে। আর আরবিআই (নোট রিফান্ড) ২০০৯ অনুযায়ী, কোনও ব্যাঙ্ক ছেঁড়া, টেপ মারা, নষ্ট হয়ে যাওয়া, দ্বিখণ্ডিত বা ত্রিখণ্ডিত নোট ফিরিয়ে দিতে পারবে না। এমনকী কোনও ব্যাঙ্ক এরকম আচরণ করলে গ্রাহকরা অনলাইনে অভিযোগ করতে পারেন। এবং সেই ব্যাঙ্কের ১০ হাজার টাকা অবধি জরিমানা হতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী, ছেঁড়া-ফাটা নোট এটিএম মেশিনে ভরা যায় না। এটিএম মেশিনে টাকা ভরার সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হয়। তবুও ভুলবশত ছেঁড়া-ফাটা নোট ভরে দেওয়া হতে পারে এটিএমে। অনেক ক্ষেত্রেই তৃতীয় পক্ষের সংস্থাকে দিয়ে এটিএমে টাকা ভরায় ব্যাঙ্কগুলি। তবে এটিএম থেকে ছেঁড়া-ফাটা নোট বের হলে তার দায়িত্ব ব্যাঙ্ককেই নিতে হয়।
যে ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে এই ধরনের নোট বেরিয়েছে সেই ব্যাঙ্কের শাখাতে গিয়ে টাকা বদল করতে পারেন সাধারণ মানুষ। তবে সেক্ষেত্রে এটিএম-র লেনদেনের স্লিপ থাকা জরুরি। তবে স্লিপ না থাকলে মোবাইলে টাকা কাটার SMS দেখিয়েও টাকা বদল করা যায়। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক যদি টাকা বদল না করে দেয় তাহলে RBI-তে অভিযোগ জানানো যায়।
নষ্ট হয়ে যাওয়া টাকা বদলানোর শর্ত – আরবিআই নিয়ম :