
বিনিয়োগকারীদের জন্য একটা দারুণ খবর। জানা গিয়েছে দেশের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড বা সেবি মিউচুয়াল ফান্ডের ব্যায় কাঠামোয় বিরাট একটা সংস্কার আনার প্রস্তাব দিয়েছে। উদ্দেশ্য স্পষ্ট, বিনিয়োগের খরচ কমাতে চাইছে তারা। যাতে আপনার লগ্নির বড় অংশ ফান্ডেই থাকে। কিন্তু কীভাবে এই খরচে কাটছাঁট করবে সেবি? মনে করা হচ্ছে মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর টোটাল এক্সপেন্স রেশিওতেই কোপ মারতে চলেছে তারা।
ফান্ড ম্যানেজারের বেতন, ডিস্ট্রিবিটরের কমিশন ও অন্যান্য প্রশাসনিক খরচ; সবটাই আসে এই টোটাল এক্সপেন্স রেশিওর মধ্যে। তবে, ফান্ডগুলো এই এক্সপেন্স রেশিও হিসাবে অতি সামান্য টাকাই কেটে নেয়। ফলে, চক্রবৃদ্ধি হিসাব করে আপনার হাতে যে পরিমাণ অর্থ আসে সেটা নেহাত কম নয়। কিন্তু এই এক্সপেন্স রেশিও সামান্য কমলেও আপনার হাতে আসা টাকার পরিমাণ একলাফে অনেকটা বেড়ে যেত পারে।
একটা অঙ্কের মাধ্যমে দেখা যাক। ধরা যাক দুটো ফান্ড, এ ও বি। দুই ফান্ডেরই গত ২০ বছরের রিটার্ন সমান। ধরি, ১২ শতাংশ। এ ফান্ডের এক্সপেন্স রেশিও ০.৫ শতাংশ। আর বি ফান্ডের এক্সপেন্স রেশিও ১ শতাংশ। তাহলে কেউ যদি মাসে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে তার ২০ বছর পর রিটার্নের পার্থক্য কত হবে জানেন? অঙ্ক বলছে ২০ বছর পর রিটার্নে প্রায় ৪৬ হাজার টাকার একটা পার্থক্য আসবে।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে কমবে এক্সপেন্স রেশিও। কিন্তু তার সঙ্গে আরও কিছু পরিবর্তনও হবে। সেগুলো কী?
এই সংস্কারের সুবিধা নিতে আপনি কী করবেন? বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বচ্ছতা বাড়লে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা সহজ হবে।
আপনি অবশ্যই ডাইরেক্ট প্ল্যান বেছে নিন। এতে ডিস্ট্রিবিউটর কমিশন থাকে না। আর সেই কারণেই রেগুলার প্ল্যানের চেয়ে ডাইরেক্ট প্ল্যানের এক্সপেন্স রেশিও কম থাকে। আপনি এখন থেকে কম খরচের ফান্ড, যেমন ইনডেক্স ফান্ড এবং ETF-এর দিকেও নজর দিতে পারেন। আপনি সর্বদা একই ক্যাটাগরির ফান্ডের মধ্যে এক্সপেন্স রেশিও তুলনা করে তবেই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিন। আর এই পদক্ষেপগুলি ভারতের মিউচুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে আরও বেশি বিনিয়োগকারীবান্ধব এবং প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।