
আপনার ফোনে ধরুন একটা পেমেন্ট রিকোয়েস্ট এল। আর আপনি সেটা খেয়াল না করেই অ্যাক্সেপ্ট করে ফেললেন। ব্যাস, মুহূর্তের মধ্যে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা! ইউপিআই ব্যবহারকারীদের এই ফাঁদে ফেলা এখন জালিয়াতদের নতুন অস্ত্র। ঠিক এই জায়গাটিতেই এবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করছে ভারতের ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন।
ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ‘পার্সন টু পার্সন মার্চেন্ট’ ক্যাটাগরিতে ‘কালেক্ট’ ফিচারটি ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এতদিন কোনও বিক্রেতা আপনাকে পেমেন্ট রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারতেন। এবার থেকে সেই সুযোগ কমছে। এর পাশাপাশি ‘অটোপে’ বা সাবস্ক্রিপশন পেমেন্টের ক্ষেত্রেও নিয়ম আরও কড়া হচ্ছে। কোনও অ্যাপ বা সার্ভিস কত টাকা কাটছে, তা আরও স্পষ্ট করে দেখতে পাবেন আপনি। অনুমতি না দিলে টাকা কিন্তু কাটবে না।
বিশেষজ্ঞ রণদুর্জয় তালুকদার বলছেন, পেটিএম বা পাইন ল্যাবসের মতো বড় সংস্থাগুলোর ব্যবসায় এতে বিশেষ ক্ষতি হবে না। কারণ, বড় দোকানগুলোতে এখন কিউআর কোড বা পিন মেশিনেরই দাপট। বিপাকে পড়তে পারেন খুব ছোট কিছু ব্যবসায়ী, যাঁরা সরাসরি রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে টাকা নিতেন। তবে সাধারণ গ্রাহকের জন্য এটা বড় জয়। আর এক বিশেষজ্ঞ আবার মনে করছেন, এতে ইউপিআই-এর ওপর মানুষের ভরসা বাড়বে। জালিয়াতির রাস্তা বন্ধ হলে ডিজিটাল লেনদেন আরও সুরক্ষিত হবে।
স্মার্টফোন হাতে থাকা মানেই আপনি কিন্তু জালিয়াতদের নিশানায়। তাই কিউআর কোড স্ক্যান করার সময় বা কোনও পেমেন্ট রিকোয়েস্ট অ্যাপ্রুভ করার আগে দু’বার ভাবুন। প্রযুক্তির সুরক্ষা বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু আপনার সচেতনতাই শেষ কথা।