
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভের আগুন জ্বলতেই তার আঁচ লাগল ভারত সীমান্তেও। এই অশান্তির জেরে ভারত-নেপাল সীমান্তে কড়া সতর্কতা জারি করেছে SSB বা সশস্ত্র সীমা বল। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে নিরাপত্তা, একাধিক বিষয় নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বাড়ছে। এ ছাড়াও ভারতের জন্য মাথা ব্যথার বড় কারণ এখানে চিনের উপস্থিতি বা কলকাঠি নাড়ানোর সম্ভাবনা।
নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতা সীমান্ত পেরিয়ে যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে, সেই কারণে সীমান্তে টহলদারি বাড়িয়েছে এসএসবি। এই পরিস্থিতির সরাসরি প্রভাব পড়েছে দুই দেশের বাণিজ্যের উপর। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতি ২০১৫ সালের আন্দোলনের সময়ের কথা মনে করাচ্ছে, যখন সীমান্ত অবরোধের কারণে পেট্রোলিয়ামের মতো জরুরি পণ্যের সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
নেপালে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ ভারত। উৎপাদন, জলবিদ্যুৎ এবং পরিষেবা খাতে ভারতের বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দেয়। এর ফলে পঞ্চেশ্বর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো বড় প্রজেক্টের কাজ থমকে যেতে পারে।
শুধু ব্যবসাই নয়, নিরাপত্তার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খোলা সীমান্তের সুযোগ নিয়ে জাল নোট, মাদক পাচার এবং মানব পাচারের মতো অবৈধ কার্যকলাপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, নেপালের অস্থিরতা যে কোনও সময় সে দেশে চিনের প্রভাব বাড়িয়ে দিতে পারে। ২০১৫ সালের আন্দোলনের সময় এমন অবস্থা দেখা গিয়েছিল। আর এমন যদি হয়, সেটা ভারতের জন্য একটি বড় ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ। তাই নেপালের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ভারতের জাতীয় স্বার্থের জন্য অত্যন্ত জরুরি।