মুম্বই: ইতিহাস তৈরি করল নিফটি ৫০। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর), ২০,০০০-এর মাইলফলক স্পর্শ করল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের ফ্ল্যাগশিপ সূচক। ৩টে বেজে ২৮ মিনিটে ১৮৫.৪৫ পয়েন্ট বেড়ে নিফটি ৫০, ২০,০০৫.৪০-য় পৌঁছয়। আর সাড়ে তিনটেয় বাজার বন্ধের সময় নিফটি ৫০ সামান্য় নেমে দাঁড়ায় ২০,০০০-এর সামান্য নীচে। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নিফটি ৫০, ২০,০০০-এর গণ্ডি অতিক্রম করল। তবে, শুধু এনএসই-র সূচকই নয়, এদিন বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচকও ৫৫৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬৭,১৫৬-য় পৌঁছয়।
বাজারে চূড়ান্ত অস্থিরতার মধ্যে গত জুলাই মাসেই অবশ্য নিফটি ৫০, ২০,০০০-এর মাইলফলক ছাপিয়ে যাবে বলে আশা করা হয়েছিল। কারণ, সেই সময় নিফটি ৫০-র গতি ছিল ঊর্ধ্বমুখী। সর্বকালের মধ্যে সবথেকে ভাল অবস্থায় ছিল নিফটি ৫০। চলতি বছরের মার্চ থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল এই সূচক। কিন্তু, আন্তর্জাতিক বাজারের দুর্বলতা এবং ভারতী বাজারের ওঠানামার মুখে, নিফটি ৫০-শেয়ার সূচক, সেই সময় ২০,০০০-এ পৌঁছতে পারেনি। ১৯,৮০০ পয়েন্টে আটকে গিয়েছিল। বিশ্ব বাজারের দুর্বলতার প্রেক্ষিতে, এরপর নিফটি ৫০ সূচক গতি হারিয়েছিল। অবশেষে, এদিন ২০,০০০ পয়েন্টের প্রতিক্ষার অবসান ঘটল।
#WATCH | Mumbai, Maharashtra | Celebrations at National Stock Exchange (NSE) as Nifty50 touches 20,000 mark for the first-time ever. pic.twitter.com/bWacsEQOEf
— ANI (@ANI) September 11, 2023
আসলে, গত সপ্তাহ থেকেই গত সপ্তাহ থেকেই শেয়ার বাজারের গতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। শুধু নিফটি ৫০ নয়, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক, সেনসেক্সও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। এদিন, দিনের শুরুতেই শেয়ার বাজারের দুই সূচকই প্রায় নয়া রেকর্ড গড়ে ফেলেছিল। রেকর্ডের থেকে ১ শতাংশ দূরে থেমেছিল দুই সূচক। বিশ্ব বাজারে অর্থনৈতিক উন্নতির ইঙ্গিত, হেভিওয়েট স্টকগুলির সমাবেশ এবং সফল জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের কারণে ভারত সম্পর্কে বাকি বিশ্বের মনোভাবের বদলের কারণেই শেয়ার বাজারে এই লক্ষ্যনীয় ইতিবাচক পরিবর্তনগুলি ঘটেছে বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
এই বিষয়ে রিসার্চ স্টক্সবক্সের প্রধান মনীশ চৌধুরী জানিয়েছেন, ২০,০০০ পয়েন্টের মাইলফলক অতিক্রমেই এই সাফল্য থেমে থাকবে না। বরং, চলতি মাসেই নিফটি ৫০, ২০,৫০০-র স্তর পেরিয়ে যাবে। তাঁর মতে, ভারতীয় অর্থনীতিকে ঘিরে গোটা বিশ্বে আশার সঞ্চার হয়েছে। টোরাস ওরো পিএমএস-এর সিইও নীতিন আগরওয়ালও বলেছেন, শেয়ার বাজারের এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে বলেই আশা করেন তিনি। কারণ, জিএসটি সংগ্রহের মতো ম্যাক্রো তথ্যে, অর্থনীতির মূল বিষয়গুলি আরও শক্তিশালী হবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।