
চেলসি, বার্সেলোনা বা লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের জার্সি স্পনসর নাইকি কোম্পানিকে চেনে না এমন মানুষ হয়তো খুব কমই রয়েছে। এক সময় ভারতীয় ক্রিকেট দলেরও জার্সি স্পনসর ছিল এই সংস্থা। পৃথিবীর একাধিক শহরে রয়েছে নাইকির অফিস এর মধ্যে যেমন রয়েছে আমেরিকার বেভার্টন, তেমনই রয়েছে নেদারল্যান্ডসের হিলভার্সাম।
সূত্র বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে নাইকির রেভেনিউ ছিল ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গত অর্থবর্ষের তুলনায় প্রায় ৯.৮৪ শতাংশ কম। যদিও আমাদের গল্প কিন্তু নাইকির লভ্যাংশ কমে যাওয়া নিয়ে নয়। একাধিক বড় আমেরিকান মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির মতো নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত সংস্থা হল নাইকি। ২৩ জুলাই তাদের শেয়ারের দাম ঘোরাফেরা করছে ৭৬ আমেরিকান ডলারের আশেপাশে।
কিন্তু নাইকি নামে আরও একটা সংস্থা রয়েছে। এই সংস্থা নথিভুক্ত রয়েছে বারমুডার সংস্থা হিসাবে। আর সেই সংস্থার মালিক কিন্তু আমেরিকান সংস্থার মালিক যারা, তাঁরাই। কিন্তু এমন কেন? এর একটাই কারণ, কর। বারমুডা এমন একটা দেশ যেখানে করের পরিমাণ তেমন বেশি নয়। আমেরিকান নাইকি যেখানে পণ্য তৈরি করে, বিশ্বের বাজারে বিক্রি করে ও সমস্ত খরচ খরচা করে, সেখানে বারমুডায় রেজিস্টার্ড সংস্থা হল নাইকির লোগোর মালিক।
ফলে, আমেরিকান কোম্পানি যখনই কোনও পণ্য বিক্রি করে, বারমুডার সংস্থাকে তারা একটা রয়্যালটি দেয়। আর এর ফলে, আমেরিকান নাইকির লভ্যাংশ অনেকটাই কমে যায়। আর নাইকিকে আমেরিকায় কর কম দিতে হয়। উল্টো দিকে বারমুডা এমন একটা দেশ, যেখানে কোনও কর নেই। ফলে, এখানে সংস্থা যা টাকা উপার্জন করে লোগোর রয়্যালিটি বাবদ, তার উপর কোনও কর দিতে হয় না। আর এইভাবেই কোটি কোটি ডলার কর বাঁচিয়ে নেয় বিশ্ববিখ্যাত এই সংস্থা।