
নয়া দিল্লি: কোনও ব্যাঙ্কে মিনিমাম ব্যালেন্স রাখতে হয় ১০ হাজার, কোথাও আবার ১৫ হাজার। কোনও ব্যাঙ্ক বার্ষিক এটিএম ফি ২৩৪ টাকা, কোনও ব্যাঙ্কে আবার একটু বেশি। বিভিন্ন ব্যাঙ্কেই নানা ফি আলাদা হয়। গ্রাহকরাও সেই ফি দিতে বাধ্য থাকেন। তবে এবার সেই চিত্র বদলাতে পারে। যে ব্য়াঙ্কেই অ্যাকাউন্ট থাক না কেন, সকল গ্রাহকদের একটাই চার্জ দিতে হবে।
দেশের ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। আলোচনা চলছে সার্ভিস চার্জের নতুন ফরম্যাট তৈরি করা নিয়ে, যেখানে থাকবে না কোনও ওভারল্যাপিং ফি। গ্রাহকদের একাধিক ব্যাঙ্কে নানা ফি দিতে হবে না। থাকবে একটি স্ট্যান্ডার্ড সার্ভিস চার্জ, যা সমস্ত ব্যাঙ্কেই লাগু হবে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যাঙ্কের আধিকারিক জানিয়েছেন, বিভিন্ন সার্ভিস চার্জের সরলীকরণের কথা চলছে। ঋণ বা লোনের আবেদন করার সময় থেকে তা স্যাংশন বা রিজেক্ট হয়ে যাওয়ার সময় পর্যন্ত লোনের প্রসেসিং ফি কত কী পড়বে, তার বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্য়া করা থাকবে, যাতে গ্রাহকদের বুঝতে সমস্যা না হয়।
পাশাপাশি ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখলে জরিমানার যে নিয়ম রয়েছে, তাও পুনর্বিবেচনা করা হবে। ইতিমধ্যেই অনেক সরকারি ব্যাঙ্ক ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখলে জরিমানার নিয়ম প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
জানা গিয়েছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে সমস্ত ব্যাঙ্ক-কে একটি পরিষেবার তালিকা দিতে বলা হয়েছে, যা হোম লোন ব্রাঞ্চ সহ সমস্ত ব্রাঞ্চেই পাওয়া যাবে। ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টের ধরনের ভিত্তিতে নানা সার্ভিস চার্জ ধার্য করে। ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে কী কী চার্জ বসছে, তার একটি তালিকা তৈরি করা হবে। গত মাসেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই পরামর্শ চেয়েছিল। সূত্রের খবর, ব্যাঙ্কগুলি এই পরামর্শ পর্যালোচনা করে দেখছে। শীঘ্রই তারা মতামত জানাবে।
প্রসঙ্গত, আরবিআই-র গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা গত মাসেই বলেছিলেন যে গ্রাহকদের পরিষেবাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে এবং এই মর্মে একাধিক পদক্ষেপও করা হয়েছে।
অগস্ট মাসে লোকসভায় অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছিল যে অধিকাংশ সরকারি ব্যাঙ্ক সেভিং অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখার চার্জ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যসভায় জানানো হয়েছিল যে ২০২৪-২৫ সালে মাসিক ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখায় ২১৭৫ কোটি টাকা জরিমানা করেছে সরকারি ব্যাঙ্কগুলি।