
নয়া দিল্লি: ক্রমাগত বেড়েই চলেছে সোনার দাম। মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে কার্যত চলে গিয়েছে হলুদ ধাতু। তবুও ভারতে সোনার কিন্তু চাহিদায় ঘাটতি তৈরি হচ্ছে না। তবে জানেন কি, ভারতে বিক্রি হওয়া সোনার বেশিরভাগটাই আসে বিদেশ থেকে। দুবাই নয়, এই সোনা আসে অন্য আরেক দেশ থেকে। কোথা থেকে জানেন?
যেহেতু ভারতে সোনার উৎপাদন সীমিত, তাই বিদেশ থেকেই আমদানি করতে হয় বেশিরভাগ সোনা। বর্তমানে ভারত সুইৎজারল্যান্ড থেকেই সোনা আমদানি করে। ২০২৪-২৫ সালের প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ভারতের প্রায় ৪০ শতাংশ সোনা আসে সুইজারল্যান্ড থেকে।
ভারতীয় গ্রাহক ও ব্যবসায়ীরা সুইৎজারল্যান্ডের সোনা পছন্দ করেন কারণ এর উচ্চ গুণমান, এটি টেকসই এবং বিশ্বাসযোগ্য। এছাড়াও, সুইস সোনার উপর কর এবং শুল্কের শর্ত ভারতের তুলনায় অনেক শিথিল। তাই ভারতীয় গহনা প্রস্তুতকারক এবং ব্যবসায়ীরা সুইজারল্যান্ড থেকে সোনা আমদানি করতে পছন্দ করেন।
সুইৎজারল্যান্ডকে বিশ্বের বৃহত্তম সোনা পরিশোধন কেন্দ্র হিসেবে গণ্য করা হয়। এখানকার সোনা পরিশোধনাগারগুলি বিশ্বমানের। বিশুদ্ধ সোনা উৎপাদন করা হয় এখানে।
সুইৎজারল্যান্ড সোনা কেবল পরিশোধন করে না, পাশাপাশি এটি ট্রানজিট হাব হিসাবেও কাজ করে, যার ফলে অন্যান্য দেশে সোনা রফতানি সহজ হয়।
সুইৎজারল্যান্ড ছাড়াও ভারত আরও অনেক দেশ থেকে সোনা আমদানি করে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ভারতের সোনার আরেকটি বড় উৎস, যেখান থেকে প্রায় ১৬ শতাংশ সোনা আসে। বিশ্ব বিখ্যাত সোনার বাজার এবং করমুক্ত নীতির কারণে দুবাইয়ের সোনাও খুব জনপ্রিয়। পাশাপাশি ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা, গিনি এবং পেরু থেকেও সোনা আমদানি করে।
ভারতে সোনার দাম বাড়ার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ আমদানি শুল্ক, জিএসটি এবং পরিবহন খরচ।
অস্ট্রেলিয়া: বিপুল পরিমাণে সোনা উৎপাদনের কারণে এখানে প্রচুর সোনা পাওয়া যায় এবং দামও তুলনামূলকভাবে কম।
সিঙ্গাপুর: এখানে বিনিয়োগ করা সোনার উপর কোনও জিএসটি নেই, যার ফলে দাম তুলনামূলকভাবে কম।
সুইৎজারল্যান্ড: সুইজারল্যান্ডের সোনার বিশুদ্ধতা এবং মানের জন্য বিশ্বজুড়ে চাহিদা রয়েছে।
দুবাই: করমুক্ত সোনা এবং বিশাল সোনার বাজারের কারণে দুবাই সোনা কেনার জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য।
ইন্দোনেশিয়া: ক্রমবর্ধমান সোনার উৎপাদন এবং কম দামের কারণে, ইন্দোনেশিয়া সোনা ক্রেতাদের জন্যও একটি ভাল বিকল্প হয়ে উঠছে।