
মুম্বই: টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস বা টিসিএসের কর্মী ছাঁটাই নিয়ে দেশজুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রচুর আলোচনা, চর্চা হয়। এদিকে কেউ জানতেই পারল না যে আরও একটা বড় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাও চুপিসাড়ে ১১ হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করে দিল। অ্যাকসেঞ্চারেও বিপুল কর্মী ছাঁটাই হল, এবং আরও ছাঁটাই হতে পারে, এমনটাই খবর।
জানা গিয়েছে, বিগত ৩ মাসেই অ্যাকসেঞ্চারে ১১ হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রবেশেই এই কর্মী ছাঁটাই। কয়েকদিন আগেই ডাবলিনের এই ফার্ম তাদের ৮৬৫ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৭৬৬৯ কোটি টাকা) রি-স্ট্রাকচারিং প্রোগ্রামের ঘোষণা করে। সেখানেই বলা হয়েছে, যদি কর্মীরা দ্রুত নতুন স্কিল বা দক্ষতা রপ্ত করতে না পারে, তাদের ছাঁটাই অনিবার্য। অ্যাকসেঞ্চারের চিফ এগজেকিউটিভ জুলি সুইট জানিয়েছেন, রি-স্কিলিং এখনও অপশন, তবে সমস্ত কর্মীদেরই যে চাকরি থাকবে, তার গ্যারান্টি নেই।
জানা গিয়েছে, যেখানে তিন মাস আগেই অ্যাকসেঞ্চারে বিশ্বজুড়ে মোট কর্মীর সংখ্যা ৭ লক্ষ ৯১ হাজার ছিল, তা অগস্ট মাসে কমে দাঁড়ায় ৭ লক্ষ ৭৯ হাজারে। সংস্থার পরিকল্পনা, রি-স্ট্রাকচারিং বা নতুনভাবে পরিকাঠামো সাজানোয় সংস্থার ১ বিলিয়ন ডলারের থেকেও বেশি অর্থ সঞ্চয় হবে। আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত ছাঁটাই চলবে বলেই সংস্থার অন্দরের খবর। মোট কত সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করা হবে, সে বিষয়ে সংস্থার তরফে কিছু জানানো হয়নি।
যেখানে কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে বিপুলভাবে, সেখানেই অ্য়াকসেঞ্চার তাদের আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার দ্বিগুণ করছে। গত অর্থবর্ষে যেখানে ৩ বিলিয়ন ডলারের এআই প্রজেক্ট ছিল, তা চলতি অর্থবর্ষে ৫.১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। কোম্পানিতে বর্তমানে ৭৭ হাজার এআই ও ডেটা প্রফেশনাল রয়েছে, ২ বছর আগে যার সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার।