মোবাইলের এক ক্লিকে এখন বাড়িতে বসেই উপভোগ করা যায় ছোটোখাটো থেকে শুরু করে নামি-দামি রেস্তোরাঁর খাবার। আবার অনেকে রেস্তোরাঁতে গিয়েই খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন। সেখানেও ত্রাতা হয়ে দাঁড়ায় বিভিন্ন অনলাইন অ্যাপ। বর্তমানে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে পছন্দের রেস্তোরাঁর টেবিল বুক করা যায়। এই উপায় মেলে বেশ আকর্ষণীয় ছাড়ও। আর সেখানেই দ্বন্দ্ব এই অনলাইন অ্যাপ ও রেস্তোরাঁগুলির সঙ্গে। মিন্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এই দ্বন্দ্বের জেরেই সুইগরি (Swiggy) টেবিল বুকিং প্ল্যাটফর্ম Dineout (ডাইনআউট) থেকে প্রায় ৯০০ টির রেস্তোরাঁ আউটলেট নিজেদের নাম সরিয়ে নিয়েছে। সিএনবিসি-টিভি১৮ -র একটি রিপোর্ট অনুসারে, এই সমস্ত রেস্তোরাঁগুলি জ়োম্যাটো পে (Zomato Pay)-র পরিষেবাতেও অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না।
সুইগির ডাইনআউট নাম সরিয়ে নিয়েছে মামাগোতো (Mamagoto), ওয়াও মোমো (Wow Momos), চাওস (Chaayos) সহ অন্যান্য রেস্তোরাঁগুলি। এই রেস্তোরাঁগুলির অভিযোগ, ডাইনআউট অ্যাপে কোনও রেস্তোরাঁয় টেবিল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে বড় পরিমাণে ছাড় দেওয়া হয় গ্রাহকদের। এর পাশাপাশি থাকে বিশেষ ক্যাশব্যাক অফারও। এর ফলে রেস্তোরাঁগুলির ব্যবসায় খারাপ প্রভাব পড়ছে বলেই তাদের দাবি। রেস্তোরাঁগুলির কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা এত ছাড় দেওয়ার ফলে তাঁদের ব্যবসা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে যা বড় সমস্যা হয়ে উঠবে।
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে বেশ কয়েক ধাপ লকডাউনের সম্মুখীন হয়েছে দেশের বিভিন্ন শহরের রেস্তোরাঁগুলি। দু’বছর ধীরে ধীরে রেস্তোরাঁগুলি ছন্দে ফিরছে। করোনাকালে যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তারা এখন তার সঙ্গে মোকাবিলা করছে। পাশাপাশি বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধির চাপও রয়েছে। এমতাবস্থায় যদি বাড়িতে ছাড় দিতে হয় রেস্তোরাঁর তরফে তাতে আখেরে ক্ষতি হচ্ছে রেস্তোরাঁগুলিরই। তাই দেশের ৯০০ টির মতো রেস্তোরাঁ নিজেদের Dineout-র তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে সুইগির তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, হাতেগোনা কয়েকটি রেস্তোরাঁই এই প্ল্যাটফর্ম থেকে নিজেদের নাম সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, সুইগি ডাইনআউটে গ্রাহকদের কতটা ছাড় দেওয়া হতে পারে সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে রেস্তোরাঁগুলির।
নিউজ১৮-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী সুইগির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন,’২০ টিরও বেশি শহরে ১৫ হাজারের বেশি রেস্তোরাঁর সঙ্গে কাজ করে সুইগি ডাউনআউট। এবং আমাদের পরিষেবা উন্নয়নে ও এই পার্টনারশিপ সবার জন্য কার্যকর করে তুলতে সর্বদা রেস্তোরাঁর সঙ্গে সমন্বয় সাধন করা হয়। সুইগি ডাইনআউটে গ্রাহকদের কতটা ছাড় দেওয়া হতে পারে সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে রেস্তোরাঁগুলির।’