
কলকাতা: পহেলগাঁও হামলার পর থেকে যেমন ধীরে ধীরে জল কমেছে সিন্ধু নদের তিন শাখা নদীর। একই ভাবে শুকিয়ে গিয়েছে পড়শি দেশের বিনিয়োগকারীদের পকেটও। কাশ্মীরে হওয়া সন্ত্রাস হামলার পর থেকেই নতুন করে বিষিয়ে গিয়েছে দুই দেশের সম্পর্ক। ক্ষতি হয়েছে বাণিজ্যেরও।
একটি পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার থেকে এখনও পর্যন্ত ৮ হাজার পয়েন্ট পড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের স্টক এক্সচেঞ্জ। যদিও শুক্রবার সপ্তাহের শেষ ট্রেডিং দিনে টানা পতনের পর একটু মুখ তুলে তাকিয়েছে পড়শি দেশের বাজার।
রক্তস্নান করেছে ৩০ এপ্রিল
গত বুধবার এই সময়কালের সর্বোচ্চ পতন হয়েছে শেয়ার বাজারে। সেদিন এক ধাক্কায় ৩ হাজার ৫০০ পয়েন্টের অধিক পড়ে যায় পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ। মোট দেড় শতাংশ পড়ে ১ লক্ষ ১ হাজার ৭১৭ পয়েন্টে এসে ঠেকে পড়শি দেশের স্টক এক্সচেঞ্জ। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিল, পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর ভারত প্রসঙ্গে করা আশঙ্কার জেরে এমন কাণ্ড ঘটেছে।
শুক্রে কী অবস্থা?
শুক্রে অনেকটাই শঙ্কা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে পাকিস্তানি শেয়ার বাজার। এদিন মোট ২ হাজার পয়েন্ট বৃদ্ধি ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৫০৬ পয়েন্টে এসে ঠেকেছে করাচি স্টক এক্সচেঞ্জ।
কিন্তু বারংবার কেন এমন পতন?
মঙ্গলে পহেলগাঁওয়ে ঘটা অমঙ্গলের কারণে অনেকটাই বিষিয়ে গিয়েছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। দুই দেশের মধ্যে তৈরি হয়েছে একটা যুদ্ধের সমীকরণ। প্রথম পদক্ষেপেই পাকিস্তানের জন্য জলবন্টন থেকে সীমানা সকল ক্ষেত্রে সাময়িক ভাবে পাক-সরকারের জন্য দুয়ার বন্ধ করেছে ভারত। যার প্রভাব পড়ছে সেদেশের শেয়ার বাজারেও।