
পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত যখন অপারেশন সিঁদুর চালায় তখন সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল তুরস্ক। আর এত বড় কারণ থাকার পরও ভারত কিন্তু সেই তুরস্কের সঙ্গে সম্পূর্ণ বাণিজ্য বন্ধ করেনি। যদিও পাকিস্তানের এই বন্ধু রাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী।
অনেক ব্যবসায়ী সংগঠন তুরস্ক থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল। হিমাচলের আপেল ব্যবসায়ী থেকে রাজস্থানের মার্বেল ব্যবসায়ী, অনেকের এমন পদক্ষেপ সত্ত্বেও এখনও তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্য বহাল রেখেছে নয়া দিল্লি। কিন্তু এরদোগানের দেশের সঙ্গে কেন এমন করছে ভারত?
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারত সব মিলিয়ে ৫.৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করেছিল। বিনিময়ে ভারতের আমদানির অঙ্কটা ছিল ২.৯৯ বিলিয়ন ডলারের। অর্থাৎ, প্রায় ২.৭৩ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি ছিল তুরস্কের দিন থেকে। যা আসলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পক্ষে বেশ ভাল খবর।
তুরস্কের আমদানিকৃত জিনিসের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি, প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের কাছকাছি শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পণ্যই রফতানি করেছে নয়া দিল্লি। আর এর মধ্যে বেশিরভাগটাই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পণ্যই রফতানি করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভারত সোনা, ফল ও বাদামের মতো পণ্য আমদানি করেছে তুরস্ক থেকে। ফলে, বাণিজ্যিক স্বার্থের দিক দিয়ে দেখলে বোঝা যাবে ভারত কখনই চাইবে না তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করতে।