
কলকাতা: ভারত তথা বিশ্ব আঙিনাতেও নিজের ব্রান্ড ভ্যালু বাড়িয়েই চলেছে পতঞ্জলি। যোগ ও আয়ুর্বেদের ক্ষেত্রে, স্বামী রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ ইনস্টিটিউট স্বাস্থ্য ও ফিটনেসের জন্য একটি স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করেছে। গোটা দেশেই এই প্রতিষ্ঠান এখন আয়ুর্বেদিক এবং ভেষজ পণ্যের জন্য বিপুল খ্যাতি অর্জন করেছে। দেশজুড়ে কোটি কোটি মানুষ পতঞ্চলির পণ্য দ্বারা উপকৃত হচ্ছেন। এখন সামাজিক দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রেও (CSR) পতঞ্জলি একাধিক অভিনব উদ্যোগ নিয়ে চলেছে। সবথেকে বেশি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষ, সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য।
আলোর বৃত্তের বাইরে থাকা মানুষদের ক্ষমতায়ন, ক্রীড়া ও শিল্পকলার ক্ষেত্রে তরুণ প্রতিভাকে উৎসাহিত করতে নেওয়া হচ্ছে একাধিক উদ্যোগ। একইসঙ্গে দেশে আয়ুর্বেদে উত্থান, তার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সংরক্ষণের উপরেও আলাদা করে জোর দেওয়া হয়েছে। সামগ্রিকভাবে পতঞ্জলি কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষমতায়নের উদ্যোগ নিয়েছে?
স্বাস্থ্যই সম্পদ! পতঞ্জলি সক্রিয়ভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য আয়ুর্বেদ এবং যোগের প্রচার করে। বিনামূল্যে যোগ শিবিরের আয়োজন করা হয়। গোটা ভারতেই এই কাজে ব্রতী হয়েছেন বাবা রামদেব। শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির দিকেও খেয়াল রাখা হয়। আয়ুর্বেদিক গবেষণার ক্ষেত্রে চলছে জোর চর্চা। বড় ভূমিকা রাখছে হরিদ্বার-ভিত্তিক পতঞ্জলি গবেষণা ইনস্টিটিউট। এছাড়াও, পতঞ্জলি ইনস্টিটিউট গ্রামের মানুষ এবং কৃষকদের সহায়তা প্রদান করে। একইসঙ্গে পতঞ্জলি গ্রামীণ এলাকায় উৎপাদন ইউনিট স্থাপন করে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করেছে। স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এটি গ্রামীণ অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করে। এছাড়াও, কৃষক ক্ষমতায়নে জৈব চাষের জন্য গোল্ডেন পিকক অ্যাওয়ার্ড, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া সিএসআর ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড, সংস্কৃত সংরক্ষণ ও প্রচারে অবদানের জন্য সংস্কৃত সম্বর্ধন অ্যাওয়ার্ডও দেওয়া হয়।