Paytm: টোল প্লাজাতে কি চলবে পেটিএম? জানিয়ে দিল NHAI
RBI-এর কড়া পদক্ষেপের পর পেটিএম পেমেন্ট ব্যাঙ্ক নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি NHAI। এবার NHAI-তে তালিকাভুক্ত ব্যাঙ্কগুলি থেকে Fastag কেনার জন্য লোকেদের আহ্বান জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এখন পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক আর ফাস্ট্যাগ ইস্যু করার জন্য তালিকাভুক্ত ব্যাঙ্ক নয়।
নয়া দিল্লি: Paytm-এর সমস্যা কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। RBI-এর কড়া পদক্ষেপের পর পেটিএম পেমেন্ট ব্যাঙ্ক নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি NHAI। এবার NHAI-তে তালিকাভুক্ত ব্যাঙ্কগুলি থেকে Fastag কেনার জন্য লোকেদের আহ্বান জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এখন পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক আর ফাস্ট্যাগ ইস্যু করার জন্য তালিকাভুক্ত ব্যাঙ্ক নয়। অর্থাৎ Paytm ফাস্ট্যাগ ব্যবহারকারীদের একটি নতুন করে ফাস্ট্যাগ নিতে হবে। IHMCL ৩২টি ব্যাঙ্কের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যেখান থেকে ব্যবহারকারীরা নিজেদের জন্য Fastag কিনতে পারবেন।
ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফিসিয়া এক্স হ্যান্ডেলে ফাস্ট্যাগের অন্তর্ভুক্ত ব্যাঙ্কের নাম উল্লেখ করে একটি পোস্ট করেছে। যেখানে বলা হয়েছে যে, কোনও সমস্যা ছাড়াই ফাস্ট্যাগের সঙ্গে ভ্রমণ করুন। আপনার ফাস্ট্যাগ কিনুন শুধুমাত্র নীচের ব্যাঙ্ক থেকে। এই তালিকায় ৩২টি ব্যাঙ্কের নাম প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে Paytm নেই।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক ফাস্ট্যাগ ইস্যুকারী অনুমোদিত ব্যাঙ্কগুলির তালিকার বাইরে থাকায় প্রায় ২ কোটি ব্যবহারকারী প্রভাবিত হবেন। এই ব্যবহারকারীদের এখন একটি নতুন Fastag নিতে হবে। Paytm-এর Fastag ২৯ ফেব্রুয়ারির পরে আর রিচার্জ করা যাবে না। যদিও পেটিএম ব্যাঙ্কের পরিষেবা দেওয়ার সময়সীমা ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়িয়ে ১৫ মার্চ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
প্রসঙ্গত, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আরবিআইয়ের নির্দেশ না মেনে অ্যাকাউন্ট খোলা ও লেনদেন করার অভিযোগ রয়েছে পেটিএমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠার পরই পেটিএম-কে এই বিষয়ে সতর্ক করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু, তারপরেও সুরাহা না হওয়ায় নতুন করে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। তারপর সম্পূর্ণভাবে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যার প্রেক্ষিতে পেটিএম পেমেন্টস গ্রাহকদের মাথায় হাত পড়েছে। পেটিএমের শেয়ার দরও পড়েছে।