বালেশ্বর: ওড়িশার বালেশ্বরে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সহজে বিমার টাকা হাতে পান, তার জন্য তাঁদের দাবিগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানাল এলআইসি। শনিবার (৪ জুন) হতাহত এবং তাঁদের পরিবারবর্গের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছেন এলআইসি-র চেয়ারপার্সন সিদ্ধার্থ মোহান্তি। একইসঙ্গে, এলআইসির বিভিন্ন পলিসি এবং প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনার দাবিদারদের কষ্ট লাঘব করার জন্য বেশ কিছু ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। সিদ্ধার্থ মোহান্তি বলেছেন, “রেজিস্টার্ড ডেথ সার্টিফিকেটের পরিবর্তে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, পুলিশ বা যে কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত হতাহতের তালিকাকেই মৃত্যুর প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ করা হবে। দাবি-সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং দাবিদারদের সহায়তা প্রদানের জন্য বিভাগীয় এবং শাখা পর্যায়ে বিশেষ সহায়তা ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রত্যেক দাবিকারীদের কাছে যাতে পৌঁছনো যায়, তার চেষ্টা করবে এলআইসি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির দাবিগুলি যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, তা নিশ্চিত করতে সব রকম প্রচেষ্টা নেওয়া হবে। যে কোনও রকম সহায়তার জন্য, বিমায় লগ্নিকারীরা তাদের নিকটতম এলআইসির শাখা বা বিভাগে যোগাযোগ করতে পারবেন। ০২২৬৮২৭৬৮২৭ নম্বরে ফোন করেও সহায়তা পেতে পরেন বিমার টাকার দাবীদাররা।
ওড়িশার ট্রেন বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০০ ছুঁয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৯০০ জন। তবে, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারের কাজ শেষ হয়েছে। দুমরে মুচরে যাওয়া কামরাগুলি সরিয়ে ট্র্যাক মেরামতের কাজও পুরোদমে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন রেল কর্তা। তিনি আরও জানিয়েছেন, শনিবার শেষ বিকেল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, মোট ১,১৭৫ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭৯৩ জনকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। তবে, ৩৮২ জনের চিকিৎসা এখনও চলছে। চিকিৎসাধীনদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। বাকিদের অবস্থা অবশ্য স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। দুটি এক্সপ্রেস ট্রেনে সংরক্ষিত টিকিট-সহ ২,২০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলেন।