
হঠাৎ আপনার অর্থের প্রয়োজন হয়েছে। তাহলে কী ধরনের লোন আপনি নেবেন? যদি আপনার কোনও ফিক্সড ডিপোজিট থাকে তাহলে সেই ফিক্সড ডিপোজিটের উপর আপনি লোন নিতে পারে। এই নিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের বিভিন্ন ধরনের নিয়ম থাকে। কিন্তু ফিক্সড ডিপোজিট তো সকলের থাকে না। তাহলে সেই ক্ষেত্রে একমাত্র উপায় হল পার্সোনাল লোন। অবে পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে সুদের হারে সামান্য হেরফেরেও আপনার হাজার হাজার টাকা বাড়তি খরচ হতে পারে।
অঙ্ক কষলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ধরুন, আপনি ৫ বছরের জন্য ১০ লক্ষ টাকার পার্সোনাল লোন নিলেন। যদি সুদের হার ১০ শতাংশ না হয়ে ৯.৫ শতাংশ হয়, তবে আপনার সাশ্রয় হবে ১৪,৭১১ টাকা। আর লোনের অঙ্ক যদি ২০ লক্ষ টাকা হয় এবং অন্যান্য শর্ত একই থাকে, তবে সাশ্রয়ের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ, অর্থাৎ ২৯,৪২২ টাকা! আর লোন নেওয়ার আগে এই একটা ছোট্ট হিসাবই আপনার কাছে একটা বিরাট পাওনা হতে পারে।
প্রতিটা ব্যাঙ্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সুদের হারে পরিবর্তন করে। ফলে, আজ যে সুদের হার চলছে আগামিকাল সেটা নাও থাকতে পারে। এ ছাড়াও ব্যাঙ্কের দুই গ্রাহকের মধ্যেও সুদের হার আলাদা হতে পারে। এই পার্থক্যটা যদিও নির্ভর করে আপনার ক্রেডিট স্কোরের উপর। তবে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে শুধু সুদ নয়, নজর রাখতে হবে আপনার লোনের প্রসেসিং ফি-র দিকেও।
এই মুহূর্তে বাজারে একাধিক পার্সোনাল লোনের স্কিম চালু রয়েছে। আর সেই কারণেই শুধু সুদের হার নয়, প্রসেসিং ফি, প্রিপেমেন্ট চার্জ এবং লোনের অন্যান্য শর্তাবলী ভালভাবে জেনে নিয়ে তারপরই আপনার জন্য কোন লোনটা সঠিক, সেটা বেছে নিতে হবে আপনাকে। আপনার বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্তই আপনাকে একটা বিরাট আর্থিক স্বস্তি এনে দিতে পারে।