
২৯ ডিসেম্বর, নিউটাউনে ‘দুর্গা অঙ্গন’-এর উদ্বোধন করোতে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখে কলকাতার মেট্রো রেল প্রকল্পের কথা। তিনি বলেন রাজ্যের একাধিক মেট্রো প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন তিনি। আর তার জন্য সম্পূর্ণ অর্থ রেখে এসেছিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “আর যত মেট্রো রেলওয়ে দেখছেন কলকাতা জুড়ে, হাওড়া থেকে কলকাতা, বেহালা থেকে দমদম, দক্ষিণেশ্বর থেকে নোয়াপাড়া, নোয়াপাড়া থেকে বারাসত এগুলো সব আমার হাতে উদ্বোধন করা। আর এর জন্য আমি যখন রেল মন্ত্রী থেকে চলে আসি, টোটাল টাকাটা রেখে এসেছিলাম। প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। কারণ, আমি জানতাম এমন একটা জায়গায় টাকা সংরক্ষিত রাখলে যা কোনও দিন কেউ বদলাতে পারে না। রেলের একটা বই আছে। একে বলে পিঙ্ক বুক। সেই পিঙ্ক বুকে রেখে দিয়েছিলাম। যাতে আমি চলে গেলেও এই প্রকল্প যেন বন্ধ না হয়।”
সহজ কথায়, এটি রেলের আয়-ব্যয়ের খতিয়ান। আড়াই কোটি টাকার উপরে কোনও নতুন লাইন, বৈদ্যুতিকরণ বা স্টেশনের আধুনিকীকরণ করতে গেলে তার ব্লু-প্রিন্ট থাকে এই বইতেই। ২০১৭ সালে সাধারণ বাজেটের সঙ্গে মিশে যায় রেল বাজেট। যদিও তার পরও কিন্তু এই পিঙ্ক বুকের গুরুত্ব একটুও কমেনি।
এতদিন একটি বই আকারে প্রকাশিত হত এই পিঙ্ক বুক। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ থেকে আর কেন্দ্রীয়ভাবে কোনও একটি ‘পিঙ্ক বুক’ প্রকাশ করছে না রেল মন্ত্রক। বদলে শুরু হচ্ছে বিকেন্দ্রীকরণের নতুন অধ্যায়। এখন রেল মন্ত্রক এখন প্রতিটি জোনের জন্য আলাদা বাজেট নথি তৈরি করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিকেন্দ্রীকরণের ফলে আর্থিক স্বচ্ছতা বাড়বে। প্রতিটি প্রকল্প ঠিক কত দূরে, তার টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে—আপনি এখন খুব সহজেই তা পোর্টাল থেকে দেখে নিতে পারবেন। রেলের এই ‘ডিজিটাল ডিসেন্ট্রালাইজেশন’ শেষ পর্যন্ত আমজনতার রেলযাত্রাকে কতটা মসৃণ করে, এখন সেটাই দেখার।