
বছরের শেষ দিন। যখন গোটা পৃথিবী উৎসবের প্রস্তুতিতে মগ্ন, ঠিক তখনই ওড়িশার চাঁদিপুরে গর্জে উঠল ভারত। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও ডিআরডিও পরপর এক দু’টি ‘প্রলয়’ মিসাইল উৎক্ষেপণ করল। এই প্রথম ব্যাক-টু-ব্যাক টেস্ট। আর দুই ক্ষেত্রেই সফল ভারত।
প্রলয় কেবল কোনও সাধারণ মিসাইল নয়, এটি একটি আধা-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো এটি নির্দিষ্ট পথে চলে না। ওড়ার সময় এটি নিজের গতিপথ বদলে ফেলতে পারে। ফলে শত্রুপক্ষের এয়ার ডিফেন্স একে ট্র্যাক করতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলবে। ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার পাল্লার এই মিসাইলটি মোবাইল লঞ্চার থেকে যে কোনও সময় ছোড়া সম্ভব।
প্রলয়ের আসল শক্তি লুকিয়ে আছে এর ওয়ারহেডে। আপনি যদি এর ধ্বংসক্ষমতা দেখেন, তবে চমকে যাবেন:
সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জোড়া উৎক্ষেপণ নিছক পরীক্ষা নয়। পূর্ব এবং পশ্চিম—দুই সীমান্তের প্রতিবেশীদের জন্যই এটি কড়া বার্তা। ভারতের কৌশলগত লক্ষ্য এখন পরিষ্কার: যুদ্ধের শুরুতেই শত্রুর তেল ভাণ্ডার এবং সেনা ছাউনি ধ্বংস করে তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া।
বছরের শেষ দিনে এই গর্জন প্রমাণ করল, ২০২৬-এ ভারতের প্রতিরক্ষা কবচ আরও নিশ্ছিদ্র হতে চলেছে। চাঁদিপুরের আকাশ আজ শান্ত হলেও, সীমান্তের ওপারে অস্বস্তিটা কিন্তু বেড়েই গেল।