Rafale Missile: রাফালের প্রয়োজনীয় হ্যামার ক্ষেপণাস্ত্র এবার তৈরি হবে ভারতেই, স্বাক্ষর হয়ে গিয়েছে চুক্তিও!

AASM Hammer Missile By Safran: হায়দরাবাদের কারখানায় তৈরি হওয়া রাফাল যুদ্ধবিমান একদিনে যেমন ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনার চাহিদা মেটাবে তেমনই এই কারখানায় তৈরি যুদ্ধবিমান রফতানিও করা হবে। এর পাশাপাশি ভারতে যদি 'হ্যামার' ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি হয়, তাহলে তো আর কথাই নেই।

Rafale Missile: রাফালের প্রয়োজনীয় হ্যামার ক্ষেপণাস্ত্র এবার তৈরি হবে ভারতেই, স্বাক্ষর হয়ে গিয়েছে চুক্তিও!
রাফালের স্কোয়্যাড্রন এবার আরও শক্তিশালী!Image Credit source: PTI

Nov 27, 2025 | 4:56 PM

ইতিমধ্যেই ভারতের টাটা অ্যাডভান্স সিস্টেমস লিমিটেডের সঙ্গে রাফাল যুদ্ধবিমানের খোল তৈরির জন্য চুক্তি করেছে ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশন। ২০২৮ সাল থেকে হায়দরাবাদে তৈরি হবে এই রাফাল যুদ্ধবিমান। আর যুদ্ধবিমানের পর এবার সেই যুদ্ধবিমানের মিসাইলও তৈরি হতে চলেছে ভারতে। রাফাল যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত ‘হ্যামার মিসাইল’ তৈরি করার জন্য ইতিমধ্যেই ভারত ইলেকট্রনিক্স ও ফ্রান্সের স্যাফ্রন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ডিফেন্স একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

হায়দরাবাদের কারখানায় তৈরি হওয়া রাফাল যুদ্ধবিমান একদিনে যেমন ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনার চাহিদা মেটাবে তেমনই এই কারখানায় তৈরি যুদ্ধবিমান রফতানিও করা হবে। এর পাশাপাশি ভারতে যদি ‘হ্যামার’ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি হয়, তাহলে তো আর কথাই নেই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলছে, এই উদ্যোগ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ও ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর দিকে একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর ফলে আরও শক্তিশালী হবে দেশের বায়ুসেনা ও দেশের নৌসেনা। আরও শক্তিশালো হবে রাফালের বর্তমান স্কোয়াড্রনগুলো।

স্যাফ্রনের তৈরি এই হ্যামার ‘এয়ার টু সারফেস’ ক্ষেপণাস্ত্র জিপিএস, ইনফ্রারেড বা লেজার ব্যবহার করে স্থির ও গতিশীল দুই ধরনের টার্গেটকেই নিউট্রিলাইজ করতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রর রেঞ্জ ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার। এই HAMMAR-এর পুরো কথা হল হাইলি অ্যাজাইল অ্যান্ড ম্যানুভারেবল মিউনিশন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ।

ফ্রান্সের তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রে যুক্ত রয়েছে আধুনিক ট্র্যাকিং সিস্টেম। এর পাশাপাশি এই হ্যামারের ধ্বংসের ক্ষমতাও ভয়ানক। শত্রুপক্ষের কংক্রিটের বাঙ্কারও গুঁড়িয়ে দিতে পারে এই হ্যামার মিসাইল। হ্যামার ভারতে তৈরি হলে তা বায়ুসেনার চাহিদা যেমন মেটাবে তেমনই তা রফতানিও করতে পারা যাবে। আর এতে আখেরে লাভবান হবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পই।