RBI Gold Reserve: পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন তড়িঘড়ি সোনা ঘরে ফেরাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক?

Reserve Bank Of India: ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বা RBI তড়িঘড়ি তাদের বিপুল পরিমাণ সোনার মজুত দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসছে। সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছয় মাসে প্রায় ৬৪ টন সোনা ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

RBI Gold Reserve: পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন তড়িঘড়ি সোনা ঘরে ফেরাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক?
টন টন সোনা ফিরছে ভারতে!Image Credit source: PTI

Oct 29, 2025 | 6:18 PM

ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের জেরে আন্তর্জাতিক অর্থবাজারে এখন চরম অস্থিরতা। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেই নতুন এক ধরনের যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে। আর সেই কারণেই ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বা RBI তড়িঘড়ি তাদের বিপুল পরিমাণ সোনার মজুত দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসছে। সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছয় মাসে প্রায় ৬৪ টন সোনা ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এটি আর শুধু রিজার্ভ ধরে রাখার বিষয় নয়, এটি সরাসরি জাতীয় সুরক্ষার প্রশ্ন।

কোথায় ছিল এত সোনা, কেন ফেরানো হচ্ছে?

সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার মোট মজুত থাকা সোনার পরিমাণ ৮৮০.৮ টন। এই বিপুল পরিমাণ সোনার মধ্যে দেশে ফেরানো হয়েছে ৫৭৫.৮ টন। বাকি ২৯০.৩ টন এখনও ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড ও ব্যাঙ্ক অফ ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টের হেফাজতে রয়েছে। কিন্তু বিদেশি ব্যাঙ্কের কাস্টডি থেকে এই সোনা ফিরিয়ে আনার গতিই বলে দিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এই বিষয়টায় ঠিক কতটা অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর তার ফলে, বিদেশে রাখা সম্পদ বা ‘Sovereign Assets’ এক মুহূর্তে বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। আর সেই কারণেই এবার সতর্ক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কার ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপ ‘আর্থিক সার্বভৌমত্ব’ নিশ্চিত করবে এবং ভারতের সবচেয়ে মূল্যবান রিজার্ভকে যে কোনও আন্তর্জাতিক বিবাদ থেকে দূরে রাখবে’। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এই দূরদর্শী সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে যে দেশ এখন আর্থিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত সতর্ক।

বিশ্বের অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কই এখন একই পথে হাঁটছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া নিশ্চিত করছে যে ভারতের স্বর্ণভাণ্ডার পুরোপুরি আমাদের নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে থাকুক। আর এই পদক্ষেপ আগামীতে দেশের অর্থনীতিকে আরও মজবুত করবে, এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।