সায়ম কৃষ্ণ দেব
Nov 17, 2024 | 10:45 AM
বাড়িতে কাড়ি কাড়ি টাকা রেখে দেওয়া যায় না। তাতে অনেক ধরনের ঝুঁকি থাকে। তাই টাকা নিরাপদে রাখতে আমরা ব্যাঙ্কে টাকা রাখি। আপাতদৃষ্টিতে আমাদের মনে হয় ব্যাঙ্কে টাকা রাখলেই তা নিরাপদ সেখান থেকে টাকা কোনও দিন মার যাবে না। তবে সব ব্যাঙ্কে টাকা রাখা কি নিরাপদ? এমনিতে সাধারণ মানুষের কাছে নিরাপদতম ব্যাঙ্ক হিসাবে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে মনে করি অনেকেই! তবে আদৌ সেটি নিরাপদ? কী বলছে RBI?
আপাতদৃষ্টিতে সব ব্যাঙ্কই নিরাপদ। তাই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টে নিজের টাকা রাখে নাগরিক বৃন্দ। দিনের পর দিন ব্যাঙ্কের লকারে ফেলে রাখেন নিজের ঘরের মূল্যবান জিনিস। তবে এবার আরবিআই প্রকাশ করল দেশের সবথেকে নিরাপদ ব্যাঙ্কের তালিকা। কোন কোন ব্যাঙ্ক আছে সেই তালিকায়?
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাঙ্ক হিসাবে ঘোষণা করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের নাম। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বুধবার ১৩ নভেম্বর D-SIBS ব্যাঙ্কগুলির তালিকা প্রকাশ করেছে।
গত বছরও এই তিন ব্যাঙ্ক দেশীয় পদ্ধতিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাঙ্কের মর্যাদা পেয়েছিল। এই বছরো তাই হল। ডি-এসআইবিএস তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ব্যাঙ্কগুলি দেশীয় ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই ব্যাঙ্কগুলিকেই দেশের সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাঙ্ক হিসাবেও গণ্য করা হয়।
ডি-এসআইবিএস-এর তালিকায় যেসব ব্যাঙ্ক থাকে সেগুলি ভারতের সমগ্র সিস্টেম পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সব ব্যাঙ্কের হঠাৎ কোনো কারণে পতন হলে সমগ্র দেশের অর্থনীতি ধাক্কা খেতে পারে। সরকার এই ব্যাঙ্কগুলির প্রতি অধিক যত্নশীল।
৩১ মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ডি-এসআইবিএস ব্যাঙ্কগুলির তালিকা তৈরি করে। সাধারণ মানুষের ডোমেস্টিক ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘোষিত ব্যাঙ্কগুলিকে অতিরিক্ত সাধারণ ইক্যুইটি টায়ার-১ (CET1) বজায় রাখতে হবে। তাদের বাকেট অনুযায়ী আরও কমন ইক্যুইটি টায়ার ১ বজায় রাখতে হবে। এটি এমন মূলধন যার মাধ্যমে ঝুঁকিগুলি সহজেই পরিচালনা করা যায়। ডি-এসআইবি-র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ব্যাঙ্কগুলিকে এটি উচ্চতর রাখতে হবে।
২০১৪ সালে প্রথম এই ডিএসআইবি বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১০ বছর আগে ২০১৪ সালে ডোমেস্টিক ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাঙ্কগুলির তালিকা প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৫ সালে, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এবং তার পরে পরের বছর ২০১৬ সালে, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ককে এই তালিকায় রাখা হয়। ২০১৭ সালে এইচফিএফসি ব্যাঙ্ক এই তালিকায় প্রবেশ করে।
এই বছর আরবিআই স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে বাকেট-৪ এ রেখেছে। ফলে এসবিআইকে ০.৮০ শতাংশ অতিরিক্ত CET১ বজায় রাখতে হবে। এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক বাকেট ২-এ রয়েছে। তাই এটিকে ০.৪০ শতাংশ উচ্চ CET১ বজায় রাখতে হবে। আবার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ককে বাকেট ১-এ রাখা হয়েছে, ফলে উচ্চ CET১ বজায় রাখতে হবে ০.২০ শতাংশ।