নয়া দিল্লি: ব্যাঙ্কিং পরিষেবা (Banking Facility) ছাড়া আর্থিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অচল। বাচ্চা থেকে বয়স্ক, বর্তমানে সকলেরই নিজস্ব ব্যাঙ্ক আক্যাউন্ট থাকে। যাবতীয় আর্থিক লেনদেনও (Financial Transaction) ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই হয়। তবে ব্যাঙ্কের পরিষেবা শুধু আর্থিক লেনদেনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, পাশাপাশি আরও পরিষেবা পাওয়া যায়। এমনই একটি পরিষেবা হল ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট (Bank Statement)। আপনি ব্যাঙ্কে জমা থাকা অর্থ থেকে যা কিছু খরচ করছেন বা লেনদেন করছেন, তার যাবতীয় হিসাব তুলে ধরা হয় এই ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টেই। ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্টে একাধিক তথ্য দেওয়া থাকলেও, তা বোঝা কিন্তু খুব একটা কঠিন নয়। একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ব্যাঙ্কের তরফে গ্রাহকদের ইমেইল বা পোস্টাল পরিষেবার মাধ্যমে এই স্টেটমেন্ট পাঠানো হয়। এবার প্রশ্ন হল এই ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট জরুরি কেন।
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই আর্থিক প্রতারণার সংখ্যা বেড়েছে বিশ্বজুড়ে। একটা ভুল লিঙ্কে ক্লিক বা ফোনে কোনও ব্যক্তিগত তথ্য জানালেই আপনার অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট দেখেন, তবে যাবতীয় আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে আপনি অবগত থাকবেন। যদি কোনও অনিয়মিত বা বেআইনি লেনদেন দেখেন, তবে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কে জানাতে পারবেন।
বর্তমানে ইউপিআই, নেট ব্যাঙ্কিং, চেকের মতো নানান আর্থিক লেনদেনের পদ্ধতি রয়েছে। একাধিক মাধ্যম ব্যবহার করলে অনেক সময়ই টাকার হিসাব রাখা কঠিন হয়ে যায়। আগের মতো খাতায় মাসিক হিসাব লিখে রাখাও সম্ভব নয়। প্রতি মাসে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট আপনাকে এই হিসাব রাখতে সাহায্য করে।
ব্যাঙ্কের তরফে এটিএম পরিষেবা থেকে শুরু করে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ডের মতো যাবতীয় পরিষেবা দেওয়া হয়। তবে কোনও পরিষেবাই বিনামূল্যে মেলে না। প্রত্যেকটি পরিষেবার জন্যই ব্যাঙ্কের তরফে একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক কেটে নেওয়া হয়। যদি আপনি ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট নিয়মিত চেক করেন, তবে কোন পরিষেবার জন্য ব্যাঙ্ক কত টাকা কাটছে, তার বিস্তারিত হিসাব জানতে পারবেন।