
নয়া দিল্লি: নতুন বছরের আগেই একটা বড় পরিবর্তন। ফোন করার ক্ষেত্রে বিরাট বদল এসেছে অচিরেই। রিলায়েন্স জিয়ো, এয়ারটেল, ভোডাফোন-আইডিয়ার গ্রাহকদের ফোনে চালু হয়েছে সিএনএপি। অনেকেই কিন্তু এই পরিবর্তন লক্ষ্য করেননি। সিএনএপি-তে কী পরিবর্তন হয়েছে জানেন?
গ্রাহকদের সুরক্ষার জন্য টেলিকম সংস্থাগুলি নতুন নিয়ম চালু করেছে। বর্তমানে যেহেতু প্রতারণামূলক ফোনের হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই গ্রাহকদের কথা ভেবে আনা হয়েছে নতুন ফিচার- কলিং নেম প্রেজেন্টেশন বা সিএনএপি। এই নতুন ফিচার্সে এখন আপনার কাছে অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলেও, কে ফোন করছে, তা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ফোনের স্ক্রিনে ফুটে উঠছে সিমের মালিকের নাম। আধার কার্ড বা অন্য কোনও কেওয়াইসি (KYC) ভেরিফায়েড নথিতে যে নাম রয়েছে, তা-ই ফুটে উঠছে ফোনের স্ক্রিনে।
ট্রুকলারের মতো থার্ড পার্টি কলার আইডি প্রায় সম্পূর্ণভাবেই ইউজার জেনারেটেড ডেটা অর্থাৎ গ্রাহকরা যে তথ্য তৈরি করেন, তার উপরেই নির্ভরশীল থাকে এই অ্যাপ। এর ফলে কেউ যদি ভুল নাম দিয়ে বা বিভ্রান্তিকর কোনও নাম লিখে রাখেন, সেটাই দেখায়। সেখানেই কলিং নেম প্রেজেন্টেশন সরাসরি কেওয়াইসি ভেরিফায়েড তথ্য থেকেই নাম দেখাবে। এতে ভুয়ো পরিচয়ের সম্ভাবনা কম।
বর্তমানে রিলায়েন্স জিয়ো, এয়ারটেল ও ভিআই-তে সিএনএপি পরিষেবা ট্রায়াল বেসিসে দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, রাজস্থান, পঞ্জাব, কেরল, অসম, ঝাড়খণ্ড ওড়িশা ও উত্তর প্রদেশের কিছু অংশে এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। বিএসএনএলে এই পরিষেবা চালু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। ট্রাই (TRAI) সমস্ত টেলিকম কোম্পানিগুলিকেই এই ফিচার্স চালু করার নির্দেশ দিয়েছে।