
এপ্রিল থেকে জুন, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি বেড়েছে নিফটি ব্যাঙ্কের সূচক। এর পিছনে অবশ্য কারণও রয়েছে। একাধিক ব্যাঙ্ক এই ত্রৈমাসিকে দারুণ আয় করেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর পিছনে অবশ্যই রয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হাত!
এপ্রিল ও জুন, দু’মাসে দু’টো রেট কাট দেখেছে দেশ। আর এর ফলে বিভিন্ন সরকারি সিকিউরিটিজে কমে গিয়েছে ইল্ড, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণত, রেপো রেট কাট হলে সরকারি বন্ড বা অন্যান্য সিকিওরিটিজে ইল্ডও কমে যায়। আর এর ফলে ব্যাঙ্কগুলো এই ধরণের বিষয়গুলো থেকে দারুণ আয় করতে পারে। কারণ কোনও বন্ডের ইল্ড কমে গেলে বাজারে সেই বন্ডের দাম বেড়ে যায়।
২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে মোট ৭৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর মধ্যে এপ্রিলে কমেছে ২৫ বেসিস পয়েন্ট ও জুন মাসেই কমেছে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। তবে এর পরিপ্রেক্ষিতে সিকিওরিটিজগুলোতে ২০ বেসিস পয়েন্ট ইল্ড কমিয়েছে সরকার। উল্লেখ্য, এই ত্রৈমাসিকেই ডলার ও টাকার কেনাবেচা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া প্রায় ২৫.২ বিলিয়ন ডলার বা ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে ঢুকিয়েছে।
আর এই সব কারণেই ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে হুহু করে বাড়ছে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম। ইতিমধ্যে একাধিক উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে গেলেও প্রায় ৯ শতাংশ দাম বেড়েছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শেয়ারের। ৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম। বন্ধন ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশের বেশি।
শুধু বেসরকারি ব্যাঙ্ক নয়। বেড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শেয়ারের দামও। ২১ শতাংশের বেশি বেড়েছে কানাড়া ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম। ১০ শতাংশ বেড়েছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।