
কোনও দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে এতে ব্যাঙ্ক নোট সবচেয়ে অগ্রগণ্য। বর্তমানে ভারতে ৫ টাকার নোট থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকার নোট পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ২০১৬ সালের বিমুদ্রাকরণের পর চালু হওয়া ২ হাজার টাকার নোট পরবর্তীতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তুলে নিলেও, তা এখনও বৈধ। কিন্তু ভারত ২০১৬ সালের আগে একাধিকবার বিমুদ্রাকরণ দেখেছে। এ ছাড়াও ভারতীয়রা ২ হাজারের চেয়েও অনেক বড় নোট চোখে দেখেছে। তা বলে ১০ হাজার টাকার নোট!
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, ব্রিটিশ আমলে ভারতে প্রথম ১০ হাজারের নোট চালু হয়। ১৯৩৮ সালে চালু হওয়া এই নোট আরবিআই বাতিল করে ১৯৪৬ সালে। কালোবাজারি ও নোট মজুত করে অর্থনীতিকে আটকে রাখার মতো সমস্যার সঙ্গে যুঝতে এই নোট তুলে নেয় তৎকালীন সরকার।
স্বাধীনতা পরবর্তীতে ১৯৫৪ সালে, পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর সরকার পুনরায় ১০ হাজারের নোট চালু করে। এই নোটও বিমুদ্রাকরণ করা হয়। এ ছাড়াও একই সঙ্গে বাতিল করা হয়েছিলও সেই সময়ের ১ হাজার ও ৫ হাজার টাকার নোটও। অবৈধ লেনদেন ও বেহিসেবি সম্পত্তি বৃদ্ধি ঠেকাতে এই নোট বাতিল করে মোরারজি দেশাই সরকার।
তবে, ২০১৬ সালের বিমুদ্রাকরণের সঙ্গে ১৯৭৮ সালের বিমুদ্রাকরণের একটা বিরাট পার্থক্য রয়েছে। ১৯৭৮ সালে সাধারণ ভারতীয়রা ১ হাজার, ৫ হাজার বা ১০ হাজার টাকার নোট ব্যবহারই করত না। কিন্তু ২০১৬ সালে বাতিল হওয়া ৫০০ বা ১ হাজার টাকার নোট ভারতীয় জীবনে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে ছিল। ফলে, ২০১৬ সালের নোট বাতিলের পর ভুক্তোভোগী হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ।