
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ক্রমাগত চড়ছে উত্তেজনার পারদ। পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করেছে ভারত। আরও অনেক পদক্ষেপ করেছে ভারত। পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে পাকিস্তানও। আর এই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
আর এরই মধ্যে নাকি সোনা কিনেই চলেছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাড়ছে ভারতের গোল্ড রিজার্ভ। কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আর সোনা কেনার মধ্য কী যোগাযোগ রয়েছে? আসলে, যুদ্ধ লাগলে হু হু করে বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। আর মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা করতে সোনার জুড়ি মেলা ভার। যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কেন সোনা মজুত করছে, তার কোনও সরাসরি জবাব এখনও মেলেনি।
সরকারি তথ্য বলছে, গত অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) মোট ৫৭ হাজার ৫০০ কেজি সোনা কেনে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। যদিও গত ১ বছরে একাধিক কারণে পৃথিবীব্যাপী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে ৩১ শতাংশ বেড়েছে সোনার দাম। ফলে, বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কই হুড়মুড়িয়ে সোনা কেনা শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস থেকেই সোনার মজুত বাড়াচ্ছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে মোট ৬৬ হাজার কেজিতে সোনা কেনে আরবিআই। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেই পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৩৫ হাজার কেজিতে।
সোনা মজুতকারী দেশের তালিকায় প্রথম ১০-এর মধ্যেই রয়েছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অনেক অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্টের পদে বসার পর থেকেই বিভিন্ন কারণে ডলারে অস্থিরতা দেখা গিয়েছে। আর সেই কারণেই সোনা কেনা বাড়িয়ে দিয়েছে আরবিআই। আর বর্তমান ভারত-পাকিস্তান এই টানাপোড়েনের মধ্যে সেই পরিমাণ আরও বাড়বে, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।