উল্লেখ্য, সূচনা পর্ব থেকেই যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল ইউপিআই। এরপরে ২০১৬ সালে নোটবন্দি ও ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণের সময়ে ইউপিআই মাধ্যমে লেনদেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
নয়া দিল্লি: মুদি দোকানের জিনিসপত্র কেনাই হোক, বা পুজোর শপিং, নগদ টাকার ব্যবহার ধীরে ধীরে কমে গিয়েছে অনেকটাই। অনলাইনে ইউপিআই-র মাধ্যমেই যাবতীয় আর্থিক লেনদেন সেরে ফেলা হচ্ছে। তবে অনলাইন আর্থিক লেনদেনের যেমন সুবিধা রয়েছে, তেমনই ঝুঁকিও রয়েছে অনেক। লেনদেনের সময়ে সার্ভারে সমস্যা, টাকা আটকে যাওয়া থেকে শুরু করে আর্থিক প্রতারণা, অনলাইন ট্রানজাকশনে ঝুঁকিও অনেক। তবে কেন্দ্রের তরফে অনলাইন লেনদেনকে সুরক্ষিত করতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে আনা হল এক নতুন পরিষেবা, যেখানে অফলাইনেই আর্থিক লেনদেন করা যাবে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে উদ্বোধন করা হয়েছে ইউপিআই লাইটের। এই পরি্ষেবার সবথেকে বড় সুবিধা হল এতে ব্যবহারকারীরা অফলাইনে অর্থাৎ বিনা ইন্টারনেটেও লেনদেন করতে পারবেন। ইউপিআই-র মতোই সম্পূর্ণ পরিচালিত হলেও, এই মাধ্যমে আরও সহজে ও দ্রুত আর্থিক লেনদেন হবে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে বাকি যে মোবাইল ওয়ালেটগুলি রয়েছে, তাদের কড়া টক্কর দিতেই ইউপিআই লাইট আনা হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ইউপিআই লাইট লঞ্চ করার সময়ই জানান যে এটি একটি অন-ডিভাইস ওয়ালেট হিসাবে কাজ করবে। বিনা ইন্টারনেটেও টাকা লেনদেনের সুবিধাই একে সাধারণ ইউপিআইয়ের থেকে আলাদা বানিয়েছে। ইউপিআই লাইটে ব্যবহারকারীরা বিনা ইন্টারনেটে ও ইউপিআই পিন ব্যবহার না করেই আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের একটি সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, সর্বাধিক ২০০ টাকা অবধি লেনদেন করা যাবে ইউপিআই লাইটে। বর্তমানে কেবল ওয়ালেট থেকে ডেবিটের অপশনটিই পাওয়া যাচ্ছে। যে অর্থ ক্রেডিট হবে ইউপিআই লাইটে, তা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই জমা পড়বে।
যখন ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন থাকবে, তখন গ্রাহকেরা ইউপিআই লাইটের ওয়ালেটে টাকা জমা বা যোগ করতে পারবেন। সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অন-ডিভাইস ওয়ালেটে এই টাকা যোগ হবে। ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার বিবৃতি অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে আপাতত ইউপিআই লাইটে আর্থিক লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ২০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। ধীরে ধীরে তা বাড়ানো হবে। তবে অন-ডিভাইস ওয়ালেটে সবসময় ২ হাজার টাকা ব্যালেন্স রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, সূচনা পর্ব থেকেই যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল ইউপিআই। এরপরে ২০১৬ সালে নোটবন্দি ও ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণের সময়ে ইউপিআই মাধ্যমে লেনদেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।