
বর্তমানে দেশের মানুষ যতই ইউপিআই বা প্লাস্টিক মানি অর্থাৎ, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুক কারেন্সি নোটের চাহিদা কিন্তু এখনও যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু নোট থাকে যেগুলো অন্যান্য নোটের থেকে কিছু ক্ষেত্রে আলাদা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ উদাহরণ হল নোটের মধ্যে থাকা স্টার চিহ্ন। এমন নোটের মধ্যে আলাদা কী থাকে, জানেন কী?
দেশে চালু প্রতিটি নোটেই একটি বিশেষ নম্বর থাকে। প্রথমে থাকে একটি নিউম্যারিক্যাল ভ্যালু (1 থেকে 9-এর মধ্যের কোনও নম্বর), তারপর দুটো অ্যালফাবেটিক্যাল ভ্যালু (ইংরেজি A থেকে Z-এর মধ্যে কোনও অ্যালফাবেট)। এরপর একটু স্পেস দিয়ে থাকে ৬ ডিজিটের একটা নম্বর। কিছু নোটের ক্ষেত্রে মাঝের এই স্পেসে থাকে একটি স্টার চিহ্ন। কিন্তু এই নোটের তাৎপর্য কী জানেন?
আমাদের দেশে নোট ছাপানোর জন্য ৪টি ছাপাখানা রয়েছে। যা আমরা আগেই জেনেছি। যার মধ্যে ২টি কেন্দ্রীয় সরকারের। অন্য দুটি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধীনস্ত। আর সেখানে এই নোটগুলো ছাপা হয়। এই নোটে নম্বর ছাড়াও একাধিক চিহ্ন থাকে, যা থেকে বোঝা যায় এই নোট আসল নাকি নকল। আর তার মধ্যেও কিছু নোটে থাকে এই * চিহ্নটি।
আরবিআইয়ের তরফ থেকে জানা যায়, কোনও নোটে কোনও ত্রুটি বেরোলে সেই নোটের বদলে যে নোট ছাপানো হয় তাতে এই স্টার চিহ্নটি দেওয়া থাকে। এই স্টার চিহ্ন দেওয়া নোটটি বাজারে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। কোনও ত্রুটিযুক্ত নোটের বদলে এই নোট ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা বোঝানোর জন্যই এই স্টার দেওয়া হয়।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০০৬ সাল থেকে এই ধরণের নোটগুলো ছাপানো শুরু করে। তখনই তারা জানিয়েছিল এই স্টার চিহ্ন দেওয়া নোটগুলো পুরনো কোনও নোটের বদলে ছাপানো হয়েছে।