নয়া দিল্লি: আজকের দিনে অনেকেই লোন (Loan EMI_ নিয়ে থাকেন বিভিন্ন কাজের জন্য। কেউ বাড়ি তৈরির জন্য বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য, আবার কেউ গাড়ি বা বাইক কেনার জন্য লোন নিয়ে থাকেন। লোন নেওয়ার সময় গ্রাহকদের খুব একটা ঝক্কি পোহাতে হয় না। কিন্তু সমস্যা হয় লোনের কিস্তি মেটানোর সময়। যদি কেউ সময়মতো লোনের কিস্তি পরিশোধ না করেন (Loan Defaulters), তাহলে অনেক ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয় গ্রাহকদের। লোন মেটাতে না পারলে ব্যাঙ্ক থেকে চেষ্টা করা হয় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টাকা ফিরে পেতে। তবে যিনি লোন নিয়ে মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছেন, তাঁর অবশ্যই জেনে রাখা দরকার নিজের অধিকারগুলি সম্পর্কে। যদি কেউ এই বিষয়ে সচেতন হন, তাহলে যে কোনওরকম চাপের মোকাবিলা করা যায়।
যিনি লোন নিচ্ছেন তাঁর ব্যাঙ্কের কাছে গিয়ে নিজের বক্তব্য শোনানোর অধিকার রয়েছে। প্রথমত, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উচিত নিজের অবস্থার বিষয়ে লোন অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং কেন তিনি লোন মেটাতে পারছেন না সেই বিষয়টি জানানো। যেমন চাকরি হারানো বা জরুরি কোনও চিকিৎসা… ইত্যাদি। আর এই কথোপকথন অবশ্যই ইমেলের মাধ্যমে করতে হবে। যদি প্রথম ৩০ দিনের পরেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি লোনের কিস্তি মেটানোর ব্যবস্থা করতে না পারেন, তাহলে তিনি আরও একটি এক্সটেনশন চাইতে পারেন। তিনি ব্যাঙ্কের কাছে অনুরোধ করতে পারেন জরিমানা সহ কিস্তির পেমেন্ট পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। এটি ৯০ দিন বা তিন বার করা যেতে পারে।
যদি কেউ পর পর তিনটি মাসিক কিস্তি মেটাতে ব্যর্থ হন, তাহলে ব্যাঙ্ক ওই অ্যাসেটকে নন-পারফর্মিং হিসেবে ঘোষণা করবে। ৯০ দিন ব্যাঙ্ক SARFAESI আইনের আওতায় আরও ৬০ দিনের জন্য নোটিস পাঠাবে। ১৫০ দিন পর, ব্যাঙ্কের তরফে অন্তত ৩০ দিনের একটি চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই ঋণগ্রহীতার অ্যাসেট বিক্রির বিষয়ে জানাবেন। অর্থাৎ, যিনি লোন নিচ্ছেন, তিনি কিস্তির টাকা মেটানোর জন্য মোট ১৮০ দিন সময় পাবেন।
এক্ষেত্রে যিনি লোন নিচ্ছেন, তিনি লোন রিকনস্ট্রাক্ট অপশন বেছে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে এই আনসিকিউরড লোনকে সিকিউরড লোনে বদল করা যেতে পারে। এরপর ক্ষেত্র বিশেষে ব্যাঙ্ক ঋণগ্রহীতাকে তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত ফ্রি ইএমআই দিতে পারে।