Rupee-Dollar Exchange Rate: টাকার দাম কমছে, তার পরও বেশ কিছু সুবিধা পাবে ভারত, চাঙ্গা হবে অর্থনীতি!

Indian Economy: চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দারুণ ফলাফল করেছে আমাদের দেশ। দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হয়েছে ৮.২ শতাংশ। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আশা করেছিল বৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশের মতো। সেখানে সব পূর্বাভাসকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে ভারতের অর্থনীতি।

Rupee-Dollar Exchange Rate: টাকার দাম কমছে, তার পরও বেশ কিছু সুবিধা পাবে ভারত, চাঙ্গা হবে অর্থনীতি!
টাকার দাম পড়লেও চাঙ্গা হবে অর্থনীতি?Image Credit source: Getty Images

Dec 04, 2025 | 2:58 PM

ডিসেম্বরের শহরে অর্থনীতি নিয়ে তেমন কোনও ভাল খবর এখনও পাওয়া যায়নি। যাতে দেশের মানুষের হাতে অর্থ থাকে, সেই কারণে জিএসটি কমিয়েছে কেন্দ্র। কমেছে হোম লোন সহ বিভিন্ন লোনের সুদের হার, কমেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট। এই সবের পিছনে একটাই কারণ, যাতে দেশের মানুষের হাতে কিছু উদ্বৃত্ত টাকা থাকে। আর বাড়তি টাকা থাকলে মানুষ কেনাকাটা করবে। বাড়বে লেনদেন। তাহলে এগিয়ে যাবে দেশের অর্থনীতি।

একদিনে যেমন গোটা বিশ্বে একটা মন্দার আশঙ্কা আগে থেকেই রয়েছে। অন্যদিকে, সেই শঙ্কা উড়িয়ে চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দারুণ ফলাফল করেছে আমাদের দেশ। দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হয়েছে ৮.২ শতাংশ। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আশা করেছিল বৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশের মতো। সেখানে সব পূর্বাভাসকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে ভারতের অর্থনীতি। কিন্তু অর্থনীতির এই রথের চাকার সঙ্গে কিন্তু তাল মেলায়নি দেশের শেয়ার বাজার। শুক্রবার, অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর এই ফলাফল সামনে এলেও সোমবার কিন্তু বাজার সেই ভাবে রেসপন্ড করেনি।

এর পাশাপাশি কমেছে টাকার দামও। ডলারের বিনিময়ে টাকার দাম কমে ছাড়িয়ে গিয়েছে ৯০ টাকা। মনে করা হচ্ছে আগামীতে এই দাম ৯১ টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর ফলে কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতের সাধারণ মানুষ। তবে, শুধু ক্ষতির কথা নয়, কিছু সুবিধাও হবে ভারতের। জানেন কী কী সুবিধা? টাকার দাম কমলে বিদেশের বাজারে ভারতীয় পণ্যের দাম কমবে। আর এর ফলে ভারত থেকে রফতানি বেড়ে যাওয়ার একটা আশা রয়েছে। কারণ, দাম কমলে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি বৃদ্ধি পাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

এ ছাড়াও কিছুটা স্বস্তি পাবে ভারতের আইটি সেক্টর কারণ, ভারত আইটি পরিষেবা রফতানি করে। আর টাকার দাম কমলে এই পরিষেবার খরচও কমবে অনেকটা। আর সেই সুবিধা পাবে দেশের তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলো। আর আশা করা হচ্ছে এতে বেশ কিছুটা সুবিধা পাবে ভারতের অর্থনীতিও। একই ভাবে ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল খাতও এমন একটা জায়গা যেখান থেকে প্রচুর অর্থ ভারতে আসে। ফলে, এই ক্ষেত্রেও লাভবান হবে ভারত।

টাকার দাম কমায় বাড়তে পারে রেমিট্যান্স। যাঁরা বিদেশে থাকেন, তাঁরা যে অর্থ ভারতে পাঠান, সেই অর্থ যদি এখন ডলার থেকে টাকায় রুপান্তরিত করা হয় তাহলে লাভ হবে দেশের সরকার ও সেই মানুষরা, যাঁদের কাছে টাকা আসে। কারণ, টাকার দাম কমলে ভারতে আগের তুলনায় অনেকটা বেশি টাকা আসবে।

২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত টাকার দাম কমেছে ৫ শতাংশেরও বেশি। আর সেই কারণেই বর্তমানে এশিয়ার সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করা মুদ্রায় পরিণত হয়েছে। মাত্র ৭৭৩টি ট্রেডিং সেশনে ৮০ থেকে ৯০-তে নেমে এসেছে ভারতীয় মুদ্রা।