
গত কয়েক মাসে একাধিক পরবর্তন দেখেছে বিশ্ব-রাজনীতি। এর মধ্যে ভারতের উপর যেমন আমেরিকার শুল্ক বসানোর ঘটনা ঘটেছে, তেমনই বেজিংয়ের সঙ্গে দূরত্ব অনেকটা কমে গিয়েছে নয়া দিল্লির। আর তাতে কিছুটা হলেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ঈগলের কপালে। এই অবস্থায় আমেরিকাকে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব। আর এই পরিস্থিতিতে শোনা যাচ্ছে ভারতকে নিজেদের পঞ্চম প্রজন্মের সুখোই ৫৭ যুদ্ধবিমান দিতে পারে রাশিয়া।
সুখোই ৫৭ যুদ্ধবিমানের প্রধান শক্তি হল ‘স্টেলথ’ বা রাডারকে ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতা। কিন্তু প্রশ্ন হল, যুদ্ধপরিস্থিতিতে এই বিমান কতটা বিধ্বংসী? আমেরিকার এফ ২২ র্যাপ্টার যুদ্ধবিমানের থেকে এই বিমান ঠিক কতটা এগিয়ে?
কোনও গোপন অভিযানে গেলে Su-57 তার ভিতরে ৬টি এয়ার টু এয়ার মিসাইল বয়ে নিয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে ৪টে দূরপাল্লার ও ২টি স্বল্পপাল্লার মিসাইল। ফলে, রাডারকে ফাঁকি দিয়েই এই বিমান শত্রুর মোকাবিলা করতে পারে।
যদিও, আমেরিকার সেরা যুদ্ধবিমান এফ ২২ র্যাপটর বিমান ভিতরে ৮টি মিসাইল বহন করতে পারে। আর এক অত্যাধুনিক বিমান এফ ৩৫ সাধারণত ৪টি, ও বর্তমানে ৬টি মিসাইল বহন করতে পারে। তবে স্টেলথ ক্ষমতা বা শত্রুর কাছে লুকিয়ে থাকার প্রয়োজন না হলে, Su-57 বাইরের হার্ডপয়েন্টে প্রায় ১০ হাজার কেজি অস্ত্র নিতে পারে, যা ‘বিস্ট মোড’ নামে পরিচিত।
ভারতের মতো দেশের কাছে এমন পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান খুবই জরুরি। কারণ, ভারতের একদিকে পাকিস্তান আর অন্যদিকে রয়েছে চিন। আর Su-57 শুধুমাত্র আকাশে যুদ্ধ করতেই সক্ষম, এমনটা নয়। এই বিমান আকাশ থেকে মাটিতে ও সমুদ্রে থাকা লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, Su-57-এর এই বহুমুখী ক্ষমতা এবং ও অস্ত্রবহন ক্ষমতা এই বিমানকে আমেরিকা বা অন্য দেশের তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানগুলির কাছে এক যোগ্য প্রতিযোগী করে তুলেছে। আর এই বিমান কিন্তু গোটা বিশ্বের সামরিক সমীকরণ বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।