বিশ্বে একাধিক মহিলা ও ব্যক্তি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে থাকেন। বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের মধ্যে একাধিকবার সংস্থা বদলানোর প্রবণতা দেখা যায়। অনেকেই সেই পথে হেঁটে চাকরি পরিবর্তনও করেছেন। তবে বর্তমান সংস্থায় ইস্তফা দেওয়ার পর সেই সংস্থায় বেতন বৃদ্ধি হয়েছে কোনওদিন? ভারতে হয়ত সেরকম সংস্থার জুড়ি মেলা ভার। অনেকেরই বিভিন্ন সংস্থায় নোটিস পিরিয়ডে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে আমেরিকার একটি মার্কেটিং এজেন্সি নোটিস পিরিয়ডে থাকাকালীন ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করে থাকে।
কোনও সংস্থাই চায় না তাদের ভাল এবং দক্ষ কর্মী সংস্থা ছেড়ে অন্য সংস্থায় যোগ দিক। তাই সেই কর্মী ইস্তফা দেওয়ার প্রসঙ্গ তুললে বেতন বৃদ্ধির প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের রেখে দিতে চায় সংস্থা। তবে আমেরিকার একটি সংস্থা গরিলা তাঁর কর্মীদের নোটিস পিরিয়ডে ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি দিয়ে থাকে। তবে তা প্রলোভন হিসেবে নয়। গরিলা সংস্থায় সেই কর্মীর কাজের সময় যাতে স্মরণীয় হয়ে থাকে তাই সংস্থার তরফে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। লিঙ্কডইনে গরিলার প্রতিষ্ঠাতা জন ফ্র্যাঙ্কো জানিয়েছেন, ‘যখন কোনও কর্মী আমাদের গরিলা ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান এবং অন্য কোনও চাকরির খোঁজ শুরু করেন তাঁরা কমপক্ষে ৬ সপ্তাহের নোটিস পিরিয়ড দিলেই তাঁদের বেতন ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়।’
গরিলা প্রতিষ্ঠাতা নোটিস পিরিয়ডে কর্মীদের জন্য এই পরিকল্পনাকে একটি সংস্থা, বিদায়ী কর্মী ও নবাগতা কর্মীদের মধ্যে একটা মসৃণ সম্পর্ক বলে অভিহিত করেছেন। প্রতিষ্ঠাতা আরও জানিয়েছেন, ‘এবং আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এই বিষয়ে আমাদের কোনও দুঃখ নেই।’ ফ্রাঙ্কো জানিয়েছেন, কোনও কর্মী সংস্থা ছাড়ার পরিকল্পনা নিলে তিন মাসের মতো নোটিস পিরিয়ড দিলে সংস্থা তাঁর জায়গায় অন্য কর্মী খুঁজে নেওয়ার সময় পায়। তবে তিনি এও বলেছেন, কোনও সংস্থাই চায় না তাদের কর্মীরা ছেড়ে চলে যাক। তবে এটা ভাবাও ভুল হবে, আজীবন তাঁরা একটি সংস্থাতেই থেকে যাবেন। তবে কোনও সংস্থা ছাড়ার সময় সেই সংস্থা সম্পর্কে যাতে কর্মীদের মধ্যে একটি ভাল মনোভাব থাকে তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সংস্থার তরফে। তবে এই ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির শর্ত হিসেবে রাখা হয়েছে একটি শর্ত। অন্তত ৬ সপ্তাহ নোটিস পিরিয়ড দিতে হবে কর্মীদের।