নয়া দিল্লি: মধ্যবিত্ত শ্রেণির সবথেকে বড় সমস্যা হল তারা টাকা জমাতে পারেন না। অল্প টাকা বেতন হওয়ায় সেই টাকা থেকে সংসার খরচ চালানো, সন্তানদের শিক্ষার খরচ, বিভিন্ন পণ্যের ইএমআইয়ের টাকা মেটানোর পর মানিব্যাগে মাত্র শ’খানেক টাকাই পড়ে থাকে। কোথাও বিনিয়োগ করতেও ভয় পান অনেকে। কিন্তু টাকাও জমাতে চান? তবে আপনি নিজের বেতন থেকেই সংসার খরচ বাঁচিয়ে টাকা সাশ্রয় করতে পারেন। যদি আপনার বেতন ১২ হাজার টাকাও হয়, তারপরও আপনি বেশ কিছুটা অর্থ সাশ্রয় করতে পারেন। এরজন্য প্রয়োজন সঠিক আর্থিক পরিকল্পনার। কীভাবে নিজের মাসিক বেতন থেকেই টাকা সাশ্রয় করে নেবেন, তা জেনে নিন-
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বেতন থেকে টাকা সাশ্রয়ের জন্য ৫০-৩০-২০ নিয়মে চলা উচিত। ধরুন, আপনি মাসে ২৫ হাজার টাকা। তাহলে আপনার বেতনের ৫০ শতাংশ সাংসারিক খরচের জন্য ব্যয় করুন। বাকি ৫০ শতাংশ টাকা অর্থ সঞ্চয় ও নিজের শখপূরণের জন্য় খরচ করুন। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ বেতন খরচ করুন নিজেদের শখ পূরণের জন্য়, যেমন বাইরে খেতে যাওয়া, শপিং, ঘুরতে যাওয়া। বাকি ২০ শতাংশ টাকা আপনি ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করুন।
ধরা যাক, আপনার বেতন ২৫ হাজার টাকা। এর ৫০ শতাংশ হচ্ছে সাড়ে ১২ হাজার টাকা। এই টাকা আপনি সাংসারিক খরচের জন্য ব্যয় করুন। বাকি ৫০ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশ নিজের খরচের জন্য ব্যয় করবেন। ২৫ হাজার টাকার ৩০ শতাংশ হচ্ছে ৭৫০০ টাকা। এই টাকায় আপনি ঘুরতে যাওয়া, খাওয়া-দাওয়ার মতো যাবতীয় শখপূরণ করুন। বাকি ২০ শতাংশ, অর্থাৎ ৫ হাজার টাকা আপনি প্রতি মাসে জমান।
যদি আপনি প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা জমাতে পারেন, তাহলেও ভাল রিটার্ন পেতে পারেন। এরজন্য আপনাকে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন। যদি আপনি এসআইপি-তে ৫হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করেন, তবে ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন পাবেন আপনি। অনেক সময় এই রিটার্নের অঙ্ক ১৪ থেকে ১৫ শতাংশও হয়ে যায়। এভাবে আপনি যদি ১০ বছর টাকা জমান, তবে ১০ বছরে আপনার জমা অর্থের অঙ্ক ১১ লক্ষ টাকা পার করবে। সেই টাকা যদি আপনি আরও ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করেন, তবে জমা অর্থের অঙ্ক ২৫.২ লক্ষ টাকায় বেড়ে দাঁড়াবে।