নয়া দিল্লি: ভবিষ্যত ও অবসরজীবনের কথা মাথায় রেখে অনেকেই পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অথবা পিপিএফে টাকা বিনিয়োগ করেন। এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করা টাকার ওপর সুদ সম্পূর্ণভাবে আয়কর মুক্ত। পিপিএফ বিনিয়োগ করলে মিউচুয়াল ফান্ড, এনপিএসের থেকেও অনেক বেশি লাভ পাওয়া যায়। এই মূহূর্তে পিপিএফে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ মেলে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকায় পিপিএফে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকিও থাকে না। একজন বিনিয়োগকারী পিপিএফ-এ প্রতি বছর মাসিক ১২ হাজার ৫০০ টাকা অথবা বার্ষিক দেড় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে অবসরকালে ১ কোটি টাকা বেশি লাভ পেতে পারেন। এমনতকী বিনিয়োগের মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ানো যেতে পারে।
কোনও ব্যক্তি যদি নিজের ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলেন তবে, ৩০ বছর নির্দিষ্ট হারে বিনিয়োগ করলে অবসর জীবনে আর্থিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। বর্তমানে পিপিএফে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে। এখন থেকে কোনও ব্যক্তি যদি এই সুদের হারে আগামী ৩০ বছর বার্ষিত দেড় লক্ষ টাকা পিপিএফে বিনিয়োগ করেন তবে তাঁর মোট বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ১ কোটি ৯ লক্ষ টাকা। মেয়াদ শেষে এই টাকার ওপর তিনি মোট ৪৫ লক্ষ টাকা সুদ পাবেন। সব মিলিয়ে টাকার অঙ্ক হবে ১ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা। পিপিএফ কেন্দ্রীয় সরকারে আওতায় একটি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প। এর মাধ্যমে আয়কর ছাড়, মূলধনের সরকারি সুরক্ষার মতো সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। টাকা খোয়া যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।