
মুম্বই: বাজার থেকে ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআই। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্ত, চলতি আর্থিক বছরে সাধারণ মানুষের খরচ করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশের বেশি হতে পারে। সোমবার এসবিআই-এর এক রিপোর্টে, ভারতীয় অর্থনীতির উপর আরবিআই-এর ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের প্রভাবের এই মূল্যায়ন করা হয়েছে।
এসবিআই রিপোর্ট
দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া বা এসবিআই (SBI)-এর অর্থনীতিবিদদের তৈরি এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধি হতে পারে ৮.১ শতাংশ। সেই সঙ্গে, পুরো অর্থবর্ষে জন্য প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধি আরবিআই-এর অনুমানকেও ছাপিয়ে যেতে পারে। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য আরবিআই ৬.৫ শতাংশ -এর জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। এসবিআই-এর অর্থনীতিবিদদের মতে, ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করার বিষয়ে আরবিআই-এর পদক্ষেপের ফলে, মন্দির-মসজিদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদানও বাড়বে। এছাড়া, সোনা বা সোনার গয়না, এসি, মোবাইল ফোন এবং রিয়েল এস্টেটের মতো টেকসই ভোগ্যপণ্য ও আসবাবপত্রের মতো উচ্চ-মূল্যের পণ্যের ক্রয়ও বাড়বে বলে, আশা করা হচ্ছে।
কীভাবে বাড়বে খরচের চাহিদা?
এসবিআই-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, আরবিআই-এর এই পদক্ষেপের কারণে মানুষের খরচের মাত্রা ৫৫,০০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেতে পারে। কীভাবে? এসবিআই-এর অনুমান, ২০০০ টাকার নোটগুলি জমা পড়ার কারণে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে মোট ৩.০৮ লক্ষ কোটি টাকা ফিরে আসবে। তাদের অভিজ্ঞতা বলে, এর মধ্যে প্রায় ৯২,০০০ কোটি টাকা সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা হবে। এর ৬০ শতাংশ, অর্থাৎ, প্রায় ৫৫,০০০ কোটি টাকা জনসাধারণ ব্যয়ের জন্য অ্যাকাউন্ট থেকে তুলবেন এবং খরচ করবেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের একটি বড় লাভ হতে পারে তাৎক্ষণিকভাবে খরচের চাহিদা বৃদ্ধি করা।”
ডিজিটাল মুদ্রা
রিপোর্ট অনুসারে, ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারে আরবিআই-এর খুচরো কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ডিজিটাল মুদ্রা বা সিবিডিসি (CBDC)-র ব্যবহার উৎসাহ পেতে পারে। ইতিমধ্যেই স্বল্প পরিসরে এই ডিজিটাল মুদ্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এসবিআই-এর মতে, উচ্চ মূল্যের নোটের অনুপস্থিতির কারণে বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য মানুষ দ্রুত ই-রুপিকে গ্রহণ করতে পারে।