
গত ১ বছরে সোনার রেকর্ড দাম বেড়েছে। এর ফলে, অনেক খুচরো বিনিয়োগকারী নতুন করে সোনায় বিনিয়োগ নিয়ে ভেবে দেখছেন। কিন্তু দোকান থেকে সোনার বার কেনার ক্ষমতা তো সাধারণ মানুষের নেই। তাহলে উপায়? আর সেখানে আসে ডিজিটাল গোল্ড। ডিজিটাল গোল্ড অনেক ধরনের হয়। কিন্তু এই ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগ কি নিরাপদ? কী বলছে ভারতের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড সেবি?
ডিজিটালি সোনায় একাধিক ভাবে বিনিয়োগ করা যায়। সবচেয়ে ভাল উপায় এই ক্ষেত্রে সোভেরেইন গোল্ড বন্ড। যা আসলে সরকারি বন্ড, ফলে একেবারে নিরাপদ। কিন্তু সমস্যা এটাই যে ভারত সরকার আর গোল্ড বন্ড ইস্যু করছে না। ফলে, এই বন্ড কিনতে গেলে আপনাকে যেতে সেকেন্ডারি মার্কেটে। এর পরই থাকে গোল্ড ইটিএফ। যা শেয়ারের মতো বাজারে কেনাকাটা করা যায়। এরপর আসে ‘ডিজিটাল গোল্ড’। একাধিক প্ল্যাটফর্ম এই ডিজিটাল গোল্ড বিক্রি করে। ডিজিটাল গোল্ডের জনপ্রিয়তা ক্রমশই বাড়ছে। আর সেই কারণে কারণে টাটা গ্রুপের ক্যারেটলেন বা ফোনপে, গুগল পে ও পেটিএমের মতো প্ল্যাটফর্মে এখন ডিজিটাল সোনা বিক্রি হয়। এর মাধ্যমে মানুষ নিজেদের ফোন থেকেও সোনা কিনতে পারে। আর এখানেই মানুষকে সতর্ক করছে সেবি।
সেবি জানাচ্ছে, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের এই ডিজিটাল সোনা আসলে ইটিএফের মতো সিকিওরিটিজ বা কমোডিটি কোনওটাই নয়। ফলে, তারা সেবির অধীনে আসে না। আবার বন্ডের মতোও কেন্দ্রীয় সরকারের সুরক্ষাও নেই এতে। তাহলে? এই কারণেই সতর্ক করছে তারা।
সেবি তাদের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানাচ্ছে, অনলাইনে একাধিক প্ল্যাটফর্মে সোনার বিকল্প হিসাবে ডিজিটাল গোল্ড বিক্রি হচ্ছে। এগুলোকে সোনা কেনার সহজ পথ বলে প্রচার করাও হচ্ছে। কিন্তু এই সব কিছুই সেবির অধীনে আসে না। ফলে, কোনও রকম সুরক্ষার ঘাটতি বা জালিয়াতি হলে তার দায় স্বাভাবিক ভাবেই সেবির উপর বর্তাবে না। সেবি এই বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতেও অনুরোধ জানায়।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।