
কলকাতা: শুক্রে সেনসেক্স চড়ল ৪০০ পয়েন্টের উপরে। বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে এক লাফে ৬০৬ পয়েন্ট ছুঁয়ে ফেলার পর সকাল ১০টা থেকে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করে এই সূচক। সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সেনসেক্স পড়ে যায় ৪২৯ পয়েন্টে। অন্যদিকে, নিফটি ৫০ বাজার খোলার পর বহালতবিয়তে বেড়ে চড়ে ১৬০ পয়েন্ট। তারপর সাড়ে ১০টার মধ্যে নেমে যায় ১৫৫ পয়েন্টে।
এক সকালেই দালাল স্ট্রিটের দুই রূপের নেপথ্যে বাই অন ডিপস কৌশলের দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের দাবি, প্রথম হুড়মুড়িয়ে চলেছে কেনাকাটি। তারপর খানিক দাম বাড়তেই চলেছে বিক্রি-বাট্টা।
তবে শুক্রবার লাভ নাকি ক্ষতির মুখ দেখবেন দালাল স্ট্রিটে বিনিয়োগকারীরা? গত মার্চ মাস থেকে প্র্রায় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে শেয়ার বাজার। সেই সময়কালে ভারতে মুহূর্মুহু FII বা বিদেশ থেকে বিরাট পরিমাণ বিনিয়োগ আসার কারণে বাড়তি গতি পেয়েছিল দালাল স্ট্রিট। কিন্তু সময়ের সঙ্গে আবার বিনিয়োগের ধারায় খানিকটা ভাটা পড়েছে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে বাজার বিশেষজ্ঞ বিজয়কুমার জানিয়েছেন, ‘বাজারের গতি দেখে মনে হচ্ছে, এতদিন যে বিদেশি বিনিয়োগের তোড়ে জোয়ার তৈরি হয়েছিল, তাতে সাময়িক ভাটা পড়েছে। তাছাড়াও আমেরিকা ও জাপানে বিনিয়োগে রিটার্ন বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বজুড়েই ঋণ স্থায়ীত্ব নিয়েও বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে। যা চাপে ফেলতে পারে দেশীয় বাজারকেও।’
অবশ্য, এই বিশেষজ্ঞ যখন বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন। সেই সময়ই সেনসেক্স বেড়ে ছুঁয়ে ফেলেছে ৯০০ পয়েন্টের গন্ডি। অন্য একটি প্রতিবেদন বলছে, আমেরিকা-চিনের মধ্যে চলা শুল্ক যুদ্ধের আঁচ কমা, ব্যাঙ্কিং সেক্টরে বৃদ্ধি-সহ গত কয়েক দিনে আবার ধীরে ধীরে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ার কারণেই উত্থান হয়েছে দালাল স্ট্রিটে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।