
গত কয়েক দিন ধরে গোটা দেশজুড়ে বাতিল হচ্ছিল একের পর এক ইন্ডিগোর ফ্লাইট। অবশেষে আসরে নামে দেশের অসামরিক বিমান পরিবহনের স্ট্যাটুইটরি বডি ডিজিসিএ। তারা নিয়ম শিথিল করলে ফের আকাশে ওড়ে ইন্ডিগোর বিমান। কিন্তু ইন্ডিগো ভারতের একমাত্র বিমান পরিবহন সংস্থা যারা বছরের পর বছর সময় ধরে লাভজনক রয়েছে। তবে শুধু ভারত নয়, গোটা পৃথিবীতেই বিমান পরিবহন ব্যবসা খুব একটা লাভজনক নয়।
২০২৫ সালের মে মাসের তথ্য বলছে, বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে ভারতীয় বাজারের ৬৫ শতাংশ রয়েছে ইন্ডিগোর দখলে। ২৬ শতাংশের বেশি রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার দখলে। তারপর রয়েছে আকাশা এয়ার। যাদের দখলে রয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ বাজার। কিন্তু এই এত বিমানের মধ্যে একমাত্র লাভজনক সংস্থা হল ইন্ডিগো।
ইন্ডিগো লাভ করার জন্য এমন কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করে যা দেখতে সামান্য হলেও আসলে বিরাট একটা ফ্যাক্টর তৈরি করে। প্রথমত, ইন্ডিগো ঠান্ডা খাবার পরিবেশন করে। দ্বিতীয়ত, ইন্ডিগো তার প্রতিযোগী এয়ারলাইনগুলোর তুলনায় ১০-১৫ মিনিট আগে তার গন্তব্যে পৌঁছে যায়। তৃতীয়ত, ইন্ডিগোতে অনেক বেশি মহিলা পাইলট নিয়োগ হয়।
বিমানে ঠান্ডা খাবার পরিবেশন করে বছরে অন্তত ১৫০ কোটি টাকা বাঁচিয়ে ফেলে ইন্ডিগো। কীভাবে? আসলে ইন্ডিগো একমাত্র বিমান সংস্থা যারা বিমানে ওভেন নিয়ে যায় না। আর সেই কারণে প্রায় ৬০ কেজি বাড়তি ওজন নিতে হয় না বিমানে। আর সেই কারণেই বছরে ১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকা বাঁচিয়ে ফেলে ইন্ডিগো।
প্রতিযোগী বিমান সংস্থার চেয়ে অন্তত ১০ মিনিট আগে এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে চেষ্টা করে ইন্ডিগোর বিমান। আর এর ফলে বেশ কিছুটা জ্বালানি বেঁচে যায় তাদের। আর এই বেঁচে যাওয়া জ্বালানি দিয়ে প্রতি বছরে অন্তত ২০০ বিমান চালাতে পারে তারা।
দৈহিক গঠনের কারণে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ওজন কম হয়। আর এই বিষয়টারই সম্পূর্ণ সদব্যবহার করে ইন্ডিগো। একই কাজে পোক্ত একজন পুরুষ পাইলটের ওজন বেশি হয়। ফলে প্রতি উড়ানের ওজন বেশ কিছুটা কম হয়। আর এই ভাবেও টাকা বাঁচায় এই ভারতীয় বিমান সংস্থা।