
আমেরিকার চাকরির বাজারের অবস্থা খারাপ। বাড়ছে বেকারত্ব। আর এই তথ্য সামনে আসার পরই বিশ্ব বাজারে সোনার দামে আগুন লেগেছে। আমাদের দেশের ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ছাড়িয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ভাবছেন, এখন সোনা কেনা ঠিক হবে নাকি ঠিক হবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন খুব তাড়াতাড়িই সুদের হার আরও কমাতে পারে আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ। আর সেই আশাতেই বাড়ছে সোনার দাম। ৩ হাজার ৬৫০ ছুঁয়েছে আর খুব তাড়াতাড়িই সেই দাম ৪ হাজার ডলারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
সোনার বিনিয়োগ করতে চাইলে Sovereign Gold Bond বা SGB একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। তবে সরকার এখন আর নতুন করে সোভেরেইন গোল্ড বন্ড ইস্যু করছে না। ফলে সেকেন্ডারি মার্কেট অর্থাৎ NSE বা BSE থেকেই কিনতে হচ্ছে। আর এখানেই আসল সমস্যা।
তথ্য অনুযায়ী, সেকেন্ডারি মার্কেটে সোভেরেইন গোল্ড বন্ডের প্রতি গ্রামের দাম পড়ছে প্রায় ₹১১,৫০০। অথচ, MCX-এ গোল্ড ফিউচারসের দাম ₹১১,০০০-এর কাছাকাছি। অর্থাৎ, স্পট গোল্ডের দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে আপনাকে সোভেরেইন গোল্ড বন্ড কিনতে হচ্ছে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ প্রথমেশ মালিয়া বলছেন, ‘বাজারের থেকে বেশি দামে SGB কেনা এই মুহূর্তে বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এতে আপনার লাভের সম্ভাবনা কমে যায়’।
যদি আপনার লক্ষ্য দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হয়, তবেই সোভেরেইন গোল্ড বন্ড নিয়ে ভাবতে পারেন। কারণ এতে আপনি ২.৫ শতাংশ সুদ এবং কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন। কিন্তু কম সময়ের জন্য বিনিয়োগ করলে বা সহজে টাকা তোলার প্রয়োজন হলে Gold ETF বা মিউচুয়াল ফান্ড ভালো বিকল্প হতে পারে।
মনে রাখবেন, কিছু পুরনো সোভেরেইন গোল্ড বন্ড সিরিজে লিকুইডিটি বা সহজে বিক্রেতা পাওয়ার সমস্যাও হতে পারে। তাই সোনার এই রেকর্ড দৌড়ের বাজারে, যেকোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব দিক খতিয়ে দেখা অত্যন্ত জরুরি।