Share Market Investment: এই সংস্থায় টাকা লাগালে মিলবে বিরাট Return! বুঝবেন কীভাবে?

Stock Market Investment: অনেকেই কেবল শেয়ারের দাম দেখে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু আসলে যে জায়গায় নজর রাখতে হয়, সেটা হল কোনও শেয়ারের ফান্ডামেন্টাল অ্যানালিসিস। যাঁরা বিশেষজ্ঞ তাঁরা বিভিন্ন সংস্থার আগামীর দিনও দেখতে পান।

Share Market Investment: এই সংস্থায় টাকা লাগালে মিলবে বিরাট Return! বুঝবেন কীভাবে?
Image Credit source: primeimages/E+/Getty Images

Oct 29, 2025 | 4:07 PM

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে লস হয়েছে, এমন মানুষের সংখ্যা প্রচুর। আর সেই কারণেই সাধারণ মানুষ সাধারণত শেয়ার বাজারকে এড়িয়ে চলে। বিনিয়োগের এই ঝুঁকি এড়াতে মানুষ বিনিয়োগ করে ফিক্সড ডিপোজিট বা রেকারিং ডিপোজিটে। কিন্তু কেন এই ভাবে লস হয় মানুষের?

আসলে, অনেকেই কেবল শেয়ারের দাম দেখে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু আসলে যে জায়গায় নজর রাখতে হয়, সেটা হল কোনও শেয়ারের ফান্ডামেন্টাল অ্যানালিসিস। যাঁরা বিশেষজ্ঞ তাঁরা বিভিন্ন সংস্থার আগামীর দিনও দেখতে পান। আপনিও একই ভাবে কোনও সংস্থার ভবিষ্যৎ দেখতে চান? তাহলে দাম নয়, সংস্থার ব্যালেন্স শিট বা আর্থিক স্বাস্থ্য দেখুন।

কীভাবে চিনবেন ভাল শেয়ার?

কোনও সংস্থার শেয়ার ভাল নাকি খারাপ সেটা কীভাবে চিনবেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটা চেনার দুটো রাস্তা রয়েছে। একটি কোয়ান্টিটেটিভ আর অন্যটি কোয়ালিটেটিভ।

  • স্থিতিশীল বৃদ্ধি: টানা কয়েক বছর ধরে কোনও সংস্থার বিক্রি ও লাভের অঙ্ক যদি বাড়ে, তাহলে বুঝতে হবে এই সংস্থা একটি ভাল সংস্থার হতে পারে। অর্থাৎ,এটাই প্রথম সংকেত।
  • শক্তিশালী মুনাফা মার্জিন: প্রতিযোগীদের চেয়ে এই সংস্থার লাভ বেশি থাকলে বুঝবেন সংস্থা খরচ নিয়ন্ত্রণে দক্ষ। বিশেষত ROE (Return on Equity) যদি ১৫ শতাংশ বা তার বেশি থাকে, তা ভাল লক্ষণ।

দাম কি যুক্তিযুক্ত? শেয়ারের দাম খুব বেশি হওয়া উচিত নয়। পি/ই অনুপাত বা শেয়ারের দাম ও শেয়ার প্রতি আয়ের অনুপাত এবং পি/বি (Price-to-Book) অনুপাত পরীক্ষা করে দেখুন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, P/B যদি আপনার সেক্টরের গড় P/B-এর ১.৫ গুণের কম হয়, তবে তা সস্তায় থাকার ইঙ্গিত।

কোয়ালিটেটিভ দিকগুলো আবার ভুলে গেলে চলবে না। সংস্থার একটা প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা থাকা জরুরি। তা হতে পারে একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড নাম বা পেটেন্ট। এছাড়া, নেতৃত্ব কেমন, সেটাও নজরে রাখা জরুরি? যে কোনও সংস্থার সৎ এবং অভিজ্ঞ ম্যানেজমেন্টই দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের চাবিকাঠি।

কীভাবে বুঝবেন সংস্থার হাতে নগদ রয়েছে?

এখানেই কাজে আসে ব্যালেন্স শিটের রেশিও। আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন ওই সংস্থার হাতে ঠিক কতটা নগদ রয়েছে।

  • লিকুইডিটি: লিক্যুইডিটি বা ওই সংস্থার হাতে কতটা ক্যাশ রয়েছে তা থেকে বোঝা যায় সে ওই সংস্থা তার স্বল্পমেয়াদি ঋণ কত তাড়াতাড়ি মিটিয়ে ফেলতে পারবে। এই অনুপাত ২:১ হলে অর্থাৎ সম্পদ ঋণের দ্বিগুণ হলে তা নিরাপদ বলে মনে করা হয়।
  • সলভেন্সি বা ডেট টু ইক্যুইটি: ঋণ নাকি শেয়ারহোল্ডারদের পুঁজি, কোথা থেকে সংস্থার অর্থের যোগান আসছে? সেটা বোঝায় ডেট টু ইক্যুইটি অনুপাত। যে কোনও সংস্থার ঋণ-নির্ভরতা কম হলে সবচেয়ে ভাল। এই অনুপাত 0.3 থেকে 0.6-এর মধ্যে থাকলে তা স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত। এ ছাড়াও বিশ্লেষকরা বলেন, কেবল সংখ্যা নয়, ব্যবসার নীতির স্বচ্ছতাই নির্ধারণ করে আপনার ভবিষ্যতের রিটার্ন।

কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।