নয়া দিল্লি: একটি সুস্থ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় ভবিষ্যৎ পেতে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র মোটা টাকা রোজগার করলেই চলে না, একইসঙ্গে সঠিক জায়গায় বিনিয়োগও প্রয়োজন। অল্প বয়স থেকেই বিনিয়োগ শুরু করলে, ভবিষ্যতের চিন্তা কমতে থাকে। সেই কারণেই এখন কর্মজীবনে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে বিনিয়োগ শুরু করেন। কিন্তু কোন খাতে বিনিয়োগ করলে লাভ বেশি, সেই বিষয়ে অনেকেরই ধারণা স্পষ্ট নয়। কেউ মনে করেন কোনও খাতে অল্প বিনিয়োগ করলেই লাভ বেশি, কেউ আবার সুদের অঙ্কের হিসাবে দীর্ঘ মেয়াদী কোনও খাতেই বিনিয়োগ করতে চান। স্বল্পমেয়াদী নাকি দীর্ঘ মেয়াদী, কোন খাতে বিনিয়োগ করলে লাভ বেশি, জেনে নেওয়া যাক।
অল্প সময়ের জন্য যে খাতে বিনিয়োগ করা হয়, তাকেই স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ বলে। মূলত ৯১ দিন থেকে ৩ বছর অবধি মেয়াদের হয় এই বিনিয়োগগুলি। এই খাতে বিনিয়োগ করলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম, সেই কারণেই স্বল্পমেয়াদের বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন অনেকে।
যেই বিনিয়োগগুলিতে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পার করার পর বিনিয়োগ করার অর্থের পাশাপাশি মোটা অঙ্কের রিটার্ন পাওয়া যায়, সেগুলিই লং টার্ম বা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ। ন্যূনতম ৫ বছরের হয় এই বিনিয়োগ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সর্বাধিক ২৫ বছর অবধি বিনিয়োগ করা যায়। এই বিনিয়োগের সবথেকে বড় সুবিধা হল এই বিনিয়োগে সুদের হার স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগের তুলনায় অনেকটাই বেশি হয়। সেই কারণে মেয়াদ শেষের পর তুলনামূলকভাবে বেশি টাকা ফেরত পাওয়া যায়। তবে এই বিনিয়োগের ঝুঁকিও রয়েছে বেশ কিছু। একদিকে যেমন মেয়াদ শেষ হওয়ার জন্য অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়। প্রয়োজন পড়লেও, আগে সেই টাকা ফেরত পাওয়া যায় না। কিছু বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পূরণ হওয়ার পরে টাকা তুলতে দেওয়া হলেও, সেক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হয়। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লগ্নিকারী সংস্থা দেউলিয়া হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে শেয়ারে পতনের কারণে বিনিয়োগ করা অর্থ ডুবে যেতে পারে।