
২০২৫ সালের শেষের দিকে এসে একেবারে আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে রুপোর দাম। ১ জানুয়ারি যেখানে ১ কেজি রুপোর দাম ছিল ৮০ হাজার টাকার কম সেখানে ২৯ ডিসেম্বর রুপোর দাম দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা। অর্থাৎ, ১ বছরে রুপোর দাম বেড়েছে প্রায় ২৫০ শতাংশ! আর এই দিক থেকে সোনাকেও টেক্কা দিয়েছে এই ধাতু। কিন্তু রুপোর এই দাম বাড়ার পিছনে কি কোনও বিপদ লুকিয়ে রয়েছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রুপোর এই দাম বৃদ্ধির পিছনে কারণ কিন্তু সাধারণ বিনিয়োগ নয়। গত ৫ বছর ধরে বিশ্বে রুপোর জোগানে কিছুটা হলেও ঘাটতি চলছে। বিশেষ করে সোলার প্যানেল এবং ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা বাড়ায় রুপোর ব্যবহার কয়েক গুণ বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় খনি থেকে উত্তোলন বাড়েনি।
জানলে অবাক হবেন, বাজারে যত টাকার রুপোর কেনাবেচা হচ্ছে, বাস্তবে কিন্তু রুপোর মজুত ততটাও নয়। চিনের মতো দেশ, যেখানে রুপোর বিরাট ভাণ্ডার মজুত রয়েছে, চলতি বছরে সেই দেশের রফতানি গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগামী বছর চিন রুপো রপ্তানিতে কড়াকড়ি করলে রুপোর বাজার আরও চড়তে পারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, রুপোর এই বৃদ্ধি যতটা চিত্তাকর্ষক, ঠিক ততটাই ভঙ্গুর। জোগান না বাড়লে যে কোনও সময় বাজারে বড়সড় ধস নামতে পারে।
আপনি যদি এখন রুপোতে বিনিয়োগ করতে চান, তবে সাবধান। কারণ রুপোর দাম ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ ৫০ হাজার পার করে দিয়েছে। ফলে, এখনই হুজুগে পড়ে চড়া দামে সব টাকা ঢালবেন না। আগামী ৩ থেকে ৬ মাস বাজার কোন দিকে যায়, সেদিকে কড়া নজর রাখুন।