
কলকাতা: শেয়ার বাজারে লাগাতর পতন। গত বছরের ‘বুল রান’ দেখে যারা বিনিয়োগ করেছিলেন, এই বছর তাদের অনেকটাই বেগ পেতে হয়েছে। টাকা ঢেলে ক্ষতি হয়েছে বহু বিনিয়োগকারীর। ফলত, এখন একাংশের লগ্নিকারীরা খুঁজছেন নিরাপদ আশ্রয়।
সাধারণ ভাবে এই নিরাপদ আশ্রয়ের কথা বললেই দু’টো ক্ষেত্র সবার প্রথমে মাথায় আসে, একটা SIP। অন্যটা PPF। SIP সরাসরি শেয়ার বাজারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সেখানে ঝুঁকি তুলনামূলক কম। ঘুরপথে শেয়ার কেনার এই পদ্ধতিতে বুঝে-শুনে বিনিয়োগ করলে লাভের আশা বিন্দুমাত্র কমে না।
অন্যদিকে PPF, সেখানে বছরে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করা যেতে পারে দেড় লক্ষ টাকা। যার বিনিময়ে লগ্নিকারীরা পেয়ে যান বার্ষিক ৭.১ শতাংশ রিটার্ন। তবে এই ক্ষেত্রে মানতে হয় একটা শর্ত। তা হল ১৫ বছরের জন্য সেই বিনিয়োগে কোনও ভাবেই হাত দিতে পারেন না লগ্নিকারীরা।
এবার ধরুন, প্রতি বছর আপনি ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে সক্ষম। তা হলে SIP নাকি PPF, কোন খাতে বিনিয়োগ বুদ্ধিমানে কাজ হবে? এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘বিনিয়োগকারীর পকেট নয়, বরং তার মানসিকতার ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা উচিত।’
তাদের কথায়, যদি বিনিয়োগকারী অল্প ঝুঁকি নিতে পারেন সেক্ষেত্রে তার SIPতেই বিনিয়োগ করা উচিত। শেয়ার বাজার উত্থান পতন লেগে থাকলেও, ১৫ বছর ধরে কেউ বিনিয়োগ করলে তার টাকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভবনা নিতান্তই কম। তবে সেই বিনিয়োগকারী বছরে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে অনেক রিটার্ন পেলেও, সেই ক্ষেত্রে তাকে অনেকটা পরিমাণ টাকা গুনতে হবে ট্যাক্সে।
অন্যদিকে PPF, একেবারে ঝুঁকি বিহীন। তারপর আবার সরকারের আওতায়। কিন্তু রিটার্ন তুলনামূলক কম। মিউচুয়াল ফান্ডে বছরে ১০ শতাংশ রিটার্নের সম্ভবনা থাকলেও, এখানে তা ৭.১ শতাংশ। কিন্তু নিশ্চিত। এমনকি, ১৫ বছর পর যখন সেই টাকা বিনিয়োগকারী তুলবেন। তখন তাতে ট্যাক্স কাটারও কোনও ‘ভয়’ থাকবে না।